পথে হলে দেরি


পথে হাঁটতে হাঁটতে
কৈশরের সেই চেনা পথ।


বেশ অচেনা লাগে; মোরটার ভাঁজে
নতুন একখান বাড়ী কার যেন?
পিছন থেকে কে যেন বলে উঠল
অমুকের নাতির বাড়ি এটা, এবছরই করল
কত দিন গাওয়ে আসেন না?
আপনারা বাপু শহুরে হয়ে গেছন
গাঁয়ের ছোট ছোট পোলাপানরা
কেউ আর চিনতে পারব না?
তুই জানি কার পোলা রে?
আমারে চিনলে না চাচা,
আমি সলুমানের বড় বেটা; ও আচ্ছা
তাই তো, এখন চিনতে পারছি।


গাঁও টার আগে প্রত্যেক বাড়ির সামনেই
উঠান ছিল বেশ দিঘল।
সেই উঠান গুলোতেই এখন সব ইটের বাড়ি
ঐ বাড়ি টা কে করল রে? ইট দিয়া খুব সুন্দর তো
শহরের বিল্ডিং বাড়ি যেন।
ঐ বাড়ি টা আপনার,
চেয়ারম্যান নানার ছেলে করেছে চাচা!


আচ্ছা চলতো,
বাপের পুরান ভিটায় যাই; উঠানের
সজনে গাছটা বুড়িযে গেছে
বাকল খুলে পরছে,
পাগারের ধারে তালগাছটার চারিদিক
লতাগুলমে ভরে গেছে; টিনের চালে
মচরে ধরা লাল রং এর উপর এঁকে বেঁকে
মরে পরে আছে লাউয়ের ডগাগুলো।


১৪২২/২৪, অগ্রহায়ণ/হেমন্তকাল।