দ্বিচারিনী উম্মক্তায়


দৈতরূপে কি মানুষ বাঁচে?
বাঁচে, তোমাকে না দেখলে জানা হতো না
জেনেছি বলে ফুলকে আজ তীর্যক বাসনাহিন
কাগজের ফুল মনে হয়।


তুমি কি পুঞ্জিভূত সত্তার অভিষারিনী?
কত রুপে কত কামনায়?
তোমাতে তোমার নেই জানা; যেন রাত্রি মগ্ন
দ্বিচারিনী পদ্মের পুনঃজন্ম
আলোর ছায়া কুঞ্জে নৃত্যরত যে বৈসাবি স্বপ্নসম্ভার
ছায়া বিন্যাশে কামনা সুলভ কুস্তরি ঘ্রাণ
ছুঁয়েছে মৌনতা কুঞ্জে দ্বিচারিনী প্রেম তোমারই
আধো বোলে লুটে নিল সর্বস্ব।


দ্বিচারিনীর খন্ডিত ছায়া বলয়ে;
নির্লজ্জ খন্ডিত প্রেম, খন্ডিত চুম্বন, খন্ডিত বাসনা
বেহাল্লাপনায় মৃতপ্রায় খন্ডিত চাওয়া।


দ্বিচারিনী উম্মক্তায়
যাপিত কাল আজ তারই কঙ্কাল গুহ; হাজারও প্রেম বির্সজন
কালে কালে যুগে যুগে কাতারে কাতারে মৃত্যু অর্নিবান
পিতামহ স্বাক্ষ্যদানে ছায়ার প্রলাপে নিত্য ঘুরে।


১৪২৩/১৮, বৈশাখ/গ্রীষ্মকাল।