শ্রাবণ এসেছিল


কাল গভীর রাতে শ্রাবণ এসেছিল
নিভৃতে বর্ষা বাদল আদলে; চন্দন গাছ চুঁয়ে চুঁয়ে
বাসনা মাখা জল মৃত্তিকা শরীরে থৈ থৈ শীৎকার।
নন্দন জোয়ার ভাসা নদী বাট ঘাট
ফিরেছে যৌবন করতলে বাসনা স্ফূরন; আঁধারে কবিতা ঝাঁক
জল ভেজা চপলতায় রং লাগা স্মৃতি জুঁপে।
ফিরে পেয়েছে বেহাল্লাপনায় জোছনা
জল ভেজা চকমকি মরিচীকায়; কত যে স্বপ্ন ভঙ্গের বিলাপ আঁকে
ভেজা ডালে রাতভর লক্ষীপেঁচা।


আঁজলা ভরে নিয়েছে চন্দন সুখ
খেড়খাতায় তাই কবিতার শ্রাবণ বিলাপ; আত্মযাপনে চুপি চুপি
যাবর কাটে অভিমান, যদি! যদিই, বা হতো।
এমনি রাতে জল ভেজা হাতে হারানো শিহরণ
একি ভাবনার অপমৃত্যুর শ্রুতি ভাসে জলে? স্বপ্নঘোর ক্ষেপ
টিপ টিপ জলের ফোটায় সময় যায়রে ঢলে।


১৪২৩/ ১৭, শ্রাবণ/ বর্ষাকাল।