তবুও হেমন্তের নগর


কেন যে রাত দুপুরে জোছনা এলো?
ভালই তো ছিল;
আঁধারে ডুবে রাত, নগরে গলির
আঁধার গুলে ভেসে আসে কুকুরগুলোর বিরক্তিকর
ঝগড়া ঝাটি, কান্না।


আঁধারে ডুবা ঘর!
জানলার পর্দা কাঁপে, ফ্যানের বাতাসে
আচমকা পর্দা চকমকিয়ে জ্বলে;
জানলার গ্লাসে গভীর রাতের ভুতুরে ছায়া।


রাত্রি ঘন আধো আঁধার ঘরে
টিকটিকির ছুটাছুটি!
ইঁদুরের কুট কটু শব্দে গভির রাতের তন্দ্রা ভাঙে,
ঘূণির্য়মান পাখার ক্যাচ ক্যাচ আওয়াজ
যেন ঘুমের কান্ডারি বেবশ বাসনায় ঘুড়ে।


তবুও এই নগর শুয়ে থাকে,
হেমন্তের শিশিরে আমেজ মাখা আদরে।
নেই কোন শেয়ালের ডাক,
কানে বাজে না বাদুরের পাখার শ' শ' আওয়াজ?
ভেসে আসে না হুঁতুম পেঁচার ভুতুরে ডাক।


১৪২৩/০৫, অগ্রহায়ণ/হেমন্তকাল।