সজ্জন সহোদর হারানো বিলাপ


আতর গোলাপ জলে ধৌত শেষ।
সাদা কাপড়ে মোড়া। নাকে কানে সাদা কাপড়ের টুকরা দেয়া। কপিনের চারপাশ চা'পাতি ঢালা, মাঝখানে নিঃস্তব্ধ নিঃসার সোয়ানো লাশ। মুখোমন্ডল যেন, পেলব প্রশান্তির ছাপ ধরে আছে। চিরতরে, নির্বিকার আর কারো সাথে কোন দিন চলবে না, হাঁটবে না, বলবে না কথা! এ তার কেমন চলে যাওয়া?


দিন রাত্রির, এই যে খেলা।
পঞ্চমীর চাঁদের রাতের দ্রোহ। লক্ষ কোটি নক্ষত্রের ঐ তো ছিল,ধব্রতারা, তাও খসে পড়ল! ভোরের বীণায় যে জাগ্রত সুর বাজে নিত্য। দিন বদলে পারাবার। স্বপ্ন জিইয়ে ছিল, সিঁথানে। গীতবিতানের  মর্মধ্যানে যাপিত জীবন, ক্ষয়ে যায় ক্ষণে ক্ষণে।


বুঝেনি কেউ, জানেনি কেউ
নিজের মধ্যে নিজে পুড়েছে বারং বার। যেমন চিতার আগুনে চিতারই পোড়ার মতো সহবোধ। কাউকে জানার ফুরসুত দেইনি। কেউ জানতে চায়নি কখনও? তাই বড়ই অভিমান। মুখের প্রলাপে বুঝেনি কেউ। কি সে ডুবছে সে? মর্মাথ্য বিধানে ঝুঁকেছে। ভেঙেছে, গড়েছে, আপ্লুতো, চলে যাবে বলেই; অবিনাসি বৈভব।


১৪২৩/২৬, অগ্রহায়ণ/হেমন্তকাল।