টুং টাং পাতা ঝরার শব্দ


টুং টাং পাতা ঝরার শব্দ
ভোরের কুয়াশা উবে যায়,
উল্টা বায়ু বয়
দক্ষিণা হাওয়ার!
সমীরণ ঢালছে যেন
ধবধবে নীল আকাশ।


আকাশে কোন মেঘ নেই
নেই মেঘের চাতাল
দিগন্তে ঐ ছোট ছোট
আবছা দৃশ্য যেন
পটে জলছবি আঁকা।


নীল ঘন আকাশে
আজ রোদের তন্দ্রা ভেঙ্গেছে
উত্তরের ক্ষেপ ভুলে;
নোনা বরফ ছুয়ে
পরছে খসে জল ঝরনার।
====


যদ্যপি মোহ পুড়ে


আকাশে ঐ উড়ছে ঘুড়ি
জনারণ্যের কোলাহলে,
সবুজ পাতারা চেয়ে চেয়ে
রাত্রি যাপনে কাঁদে
কখন দেখবে আকাশ?
শিশির যাতনা ভুলেছে
ক্রন্দন মৌনতা
মিইয়ে যায়; পলাশের
পাঁপড়ি ধুলায় যায় গড়াগড়ি।


চন্দনার মগ্নতায়
আকাশ যে আজ নুয়ে পরে
নীলের নির্মল বাসনায় ডুবে
ঐ যে শুন্যে অঙ্গনার মোহ!
যদ্যপি মোহ পুড়ে।
=====


আঁকিতে আকাশ


আঁকিতে আকাশ। নীল তুলির টান। সাদা আলখেল্লা বর্ণময়। কোথাও ফাঁক ঢাকিতে মেঘ জুটে যায়। তারাদের দ্রোহ। দিনের আলোয় ম্রিয়মান। তাই তো নীল তুলির আঁচড়ে, যত সামান্য শুন্যতা ভাসে! বারং বারং টানে গাঢ় নীলের সানিধ্য মিলে।


এমনি মহেঞ্জোদারে কালের পংক্তিমালা। আকাশ নীলের স্বপ্ন বুনে। তাবর আঁধার ঠেলে, নীল বানিজ্যে সদা তৎপর খোলা আকাশ।
======


স্বপ্নের সপ্তাবর্ণা


আকাশ নীলের প্রত্যহ
না না রং এর
সমাহারে ব্যবৃত;
কোথায় কোন রং
ছড়াতে হবে,
সেই কাজে বেশ সিদ্ধহস্ত।
যেমন ভোরের আকাশ
ধুসর প্রাণান্দের!
যেমন দুপুরের আকাশ
রৌদ্র প্রবন তীক্ষ্ণতা!
যেমন সাঝের আকাশ
লালিমায় মায়াবতী!
যেমন রাতের আকাশ
তারকাখচিত বর্ণিল!
তাই তো আকাশ,
স্বপ্নের সপ্তাবর্ণা!
====


নাও নাও, দাও দাও,


নাও নাও,
দক্ষিণা হাওয়া পাঠিয়েছে ঐ সুনীল আকাশ।
দাও দাও,
আঁজলা ভরা জলের মতো আঁচল পাতে।
ছুঁয়ে  ‌দ্যাখি,
ঐ স্বপ্না বিরলা প্রভূত বাসনার মঙ্গলা।
যেতে যেতে,
আকাশ সিমানা পেরিয়ে পথের নিশানা ভুলে।
দু'হাতে কুড়ায়ে,
যত যত পলাশ পাঁপড়ি দুলোয় রাঙিয়ে।
লাজে মরে,
মর্মে মর্মে বিনোধিনী আকাশ ঐ নীলে।
মনে মনে,
যে রূপ হেরিয়েছে স্বপ্নোলকের সাঁঝ লালিমায়।
তারে খুঁজিতে,
খুঁজিতে আকাশে বাতাসে সপ্তপ্রহর গুনে গুনে।
======


ঐ সুদূর পারাবারে


ঐ সুদূর পারাবারে
আকাশ নীলের মাধর্য্য ঝরে,
শুন্য মহাশুন্যের এ কি মোহ মায়া?
যার আঁচলে নিয়েছে ঠাঁই
তারই ভালোবাসার শঙ্খচিল।


খসে পরেছে,
ক'খানা পালক তার
আজই এ বসন্তে সবুজ ঘাসে।


অপরাহ্নে যখন
ঢলে পরে বেলা
আকাশ কার্নিশে এ কোন রং মাখা?
মেঘেরা দল বেধেছে
আকাশের গায় অভিমানে,
দূর বহুদূরে আশ্রয় মিলিয়ে যায়।
=======


শুন্য হাতে পেতেছে দু'হাত


শুন্য হাতে পেতেছে দু'হাত। কর্দয্য আঁধারে। রাতের তিমিরে। ভরা অমাবশ্যায়। চাঁদ উঠবে না আজ। তাই তো রাতের মহারনের বিদ্রুপ আঁটে শুন্য মহা শুন্যে। যে খানে জীব জড় প্রভেদ বিফল।
এক চিলতে আলোর মোহলীলা।


আঁধারে চেয়ে চেয়ে, চক্ষু আজ আঁধারে ঢেকেছে। এ যে আঁধার রাতের কারুকাজ। চম্পক বনে, যে টুকু ফুলের বিভাস ভাসে, সে টুকুও আজ হরিলুটের প্রদাহে আক্রান্ত। সন্তর্পনে পা টিপে টিপে আঁধার মুচকি হাসে।
======


দাও দাও ভরিয়ে শঙ্খচিলে মায়া


একদিন তোমার আঁচলেই
মিলত নীল আকাশ সারা, ক্ষণে ক্ষণে পাহারায়
ছিন্ন মেঘেদের ছিল আনাগোনা।
কালে ভদ্রে অচেনা মেঘ দিতো
তোমার আঁচল আঁধার করে, ক্ষনিকেই মেইয়ে যায়
আকাশ নীলের অভিমানে।


এমনি করে সজনে ডালে বসে
চুড়ই ঝাঁকের জটলা, উঠানে তার পাতা ঝরার
গুনগুনানি গানে দক্ষিণা হাওয়া।
অভিমান যতই হানুক নীলে
বসন্তের প্রলাপ মাখে নিজে নিজে, কালো ভ্রুমর গুনগুনিয়ে
স্বপ্ন প্রদ্বীপ জ্বালে।


নিপুণ কুঞ্জে নীলের আঁধার
শুন্য মহাশুণের মোহ মায়া, আঁচলে তার অনামি কায়া
দাও দাও ভরিয়ে শঙ্খচিলে মায়া।
======


মহানীলের পথে


এক দিন না হয়, হাটতে যাই ঐ মহানীলের পথে। ফুঁর ফুঁরে বাতাস লাগবে গায়। যেন আলাদিনে ম্যাজিক কার্পেট দু'টো পায়। যেথায় খুঁশি যাই উড়ে উড়ে বনবাদার তেপান্তার পেরিয়ে, দিগন্ত বোলয় মাড়িয়ে, দূর দূর বহুদূরে।


নীলের ঢল মারিয়ে, সবে এলাম নাকি প্রথম আকাশে। এর পর দ্বিতীয়,তৃতীয়, ৪র্থ, পঞ্চম, ৬ষ্ঠ,সত্তম তো রইল পরে। প্রথম তলায় নীলের ভালোবাসার আধিক্য ভরা। এই নীলের মায়ায়, প্রাণীকুল, জড়, সদা আত্মহারা।
==========


কত লক্ষ কোটি অভিমান নীলে ঢাকা?


কত লক্ষ কোটি অভিমান নীলে ঢাকা?
অভিনব বটে!
শুন্যের গায় আশ্রয় স্থল।
কে তারে দিয়েছে এমন নীলের আকাশ?
ক্ষয়ে যায় না মোটে!
শুধু শুধু আহল্লাদে বাঁচে।


কে তারে দিয়েছে এমন নিপুন কারু কায্যের আঁধার?
তন্দ্রা বিভ্রুপ টুটে যায়!
অনাবিল মনের খরাক জুটে।
কে তারে দিয়েছে এমন নির্মল আশ্রয়?
গ্রহন লাগা চাঁদে!
নির্মল স্বপ্নেরা জোট বাঁধে।


কে তারে দিয়েছে এমন বুকভরা মায়া?
মনের কল্লল কাননে!
বুকের পাঁজরে লুকিয়ে রয় ভালোবাসা কায়া।
==========
১৪২৩/১, ফাল্গুন/ বসন্তকাল।