বেশ তো ছিলে পালিয়ে
খুব, খুব করে!
কেন তবে মনে পরে তারে?
বসন্ত এসছে তাই
ঝরা ফুলের পাঁপড়ি যাতনায়।
মন তো ছিল বেশ
ভুলে তোমায়; বদ্ধ পুকুর জলের মতো
দু' একটা ঢিলে শুধু নির্লিপ্ত ঢেউ
মিলিয়ে যায় মেইয়ে যায়
নিজে নিজেই; বাতাস প্রদাহে
ফুরিয়ে যাওয়া ঢেউ গুলো সব
লজ্জবতির বিছানো গায়ে বিলিকেটে
ছুঁয়ে যায় মৃত্তিকার গায়ে।
বেশ তো ছিলে পালিয়ে
কেন যে টান ধরে পাঁজরে?
চিন চিনে ব্যথা
বুকের মধ্যখানে।
=====
দ্বিধা, সাহস
একদিন মুখিয়ে ছিল বাসনা
তোমার নন্দন রুপের পরতে পরতে
কোথায় মুক্তটা আছে?
খুঁজার প্রয়াসে;
তপ্ত কত কাল কেটেছে মগ্নতায়!
জানতেই পারনি তুমি;
খেয়াঘাটের মাঝির মতো
পথিকের অপেক্ষায় অপেক্ষায়
কেটেছে প্রনমি সকাল, সন্ধ্যা, কাল।
দ্বিধা, সাহস
খুব করে সংসয়ে পুড়িয়েছিল
বাসনার আপাদোমস্তক!
সেই পোড়া দাগই এখন
দগ দগে বিরহের নামান্তর
======
শুধু কিছু প্রশ্ন সুধাবার?
সে দিন ঝরাপাতার দিনে
এসেছিলে আমার দ্বাড়ে,
কি জানি কি বলবে বলে?
এলোমেলো কেশরাশি উড়ছিল হাওয়ায়।
কপালে ছিল না কোন চেনা টিপ
খুব অস্থির অন্যমনস্ক বেশ,
চাঁদোয়া আঁচল অগোছাল
চোখের নিচে বেশ জমেছে কালো দাগ।
বললাম অভয় দিয়ে,
ভিতরে এসো, একটু না হয় বসে যাও!
একটু জলপান
তার পর না হয় শুনবো তোমার কথা।
অভিমান, সবটুকু বাসনা তোমার
নিয়েছে লুটে চুপিসারে;
তাই তো রাগ দ্রোহ সব জেগেছে বুকে
শুধু কিছু প্রশ্ন সুধাবার?
=====
না হয় থাকলে না
না হয় থাকলে না
জাপিত কালে;
দেখছ তো
আকাশ, বাতাস, রৌদ্র,
সমুদ্র সোপান!
নিঙ্করে নিয়েছে
যত জল! ছায়ার মতো
বেধরা বিদ্রুপে।
এঁকেছে মুখ তোমার
সুর্যকে বলল; ডেকে ডেকে
দেখতো প্রতিমা!
চন্দন সুবাসে, বেআব্রু আঁধার
স্বপ্নঘোর যাতনা সহে।
====
না পাওয়া খুঁজে তোমারে
না পাওয়া খুঁজে তোমারে,
অসিম শুন্যতায় জিইয়ে আছে আজও
কত কত কালের ইতিকথা,
তোমারই মতো!
হারিয়ে মুখে মুখে রটেছে যে প্রেম
সে এখন আমলকি বনে,
হাওয়ায় হাওয়ায়
নেচে নেচে বেড়ায়।
দগ্ধ বিদগ্ধ,
বিড়ম্বনা রাতবিরাতে
জোনাক আলোর আশায় বাঁধে
যদি ফিরে!
কোন কালে; রইল পরে শুধু
কালের মৃত্তিকা সজল
প্রলয় বাসনা মনিহার।
১৪২৩/বসন্তকাল/২৫, ফাল্গুন।