সপ্তক-০৬


আকাশ ধূসর


নির্জনতায় পেয়ে আমায়
চেয়ে ছিল চোখ পানে;
আধেক শরীর মেপে
শুধু প্রলাপ বকে।


কত কথা যে কইল?
শরীর উত্তাপ মেপে;
ঘেঁসে ছিল অম্ল ঘ্রাণ
অজুত বিভ্রুম মাখে।


নিল যত প্রেম
আগল খোলা পেয়ে;
স্বপ্ন ক্ষয়ে ক্ষয়ে দূর বহু দূর
পালিয়ে যায় হেঁটে।


কোন বেলায় যে!
আকাশ ধূসর; হারিযে যাবার দিন
যাতনা মাখা রং লাগিয়ে ঐ যে বহু দূর।
====


যেতে হবে বহু দূর


দূর বহু দূর। গগন বিদারি হাঁক ডাক। তবু কানে বাজে না সেই ডাক। চেতন ফিরে না। বোধের আগল খুলে না। বোধ যে ডুবে আছে মোহে। তন্দ্রায় শুধু জাগে। গ্রহন লাগা এই যে প্রার্থিব্য মোহে ডুবে আছো ঘোলা জলে।


ডুব সাঁতারে মতান্তর ভুলে; খুঁজে দ্যাখো স্বচ্ছ জলের ফুয়ারা। নচেৎ ফিরবে না আর বোধের চেতন। ভাঙ্গবে না আর তন্দ্রা ঘুম।
যেতে হবে বহু দূল।
=====


কে বলে তুই পথের কাঙাল?


কে বলে তুই পথের কাঙাল?
পথেই খুঁজে পাবি পথ!
পথ যে তোর সমুখ পানে
খুঁজবি না আর পিছন ফিরে;
সামনেই যে তোর চলার রথ।


পিছনে তোর অতীত বলয়
কাঙাল রুপে পথের বাটে
মায়া মোহের রং ছড়িয়ে
ডাকছে দ্যাখো পথের ধারে।


মোহের টানে মায়া হাত
যাছনে তুই নতুন পথে!
বার বার তোরে পথের বাঁকে
কাঙাল করে ছাড়ছে ঘটে।
=====


কোথাই যে তুই রইলে পরে?


কোথাই যে তুই রইলে পরে? এমন সুবোধ নন্দন পুরে। যেখানে ছিল মিলে মিশে আদি অন্ত স্বপ্ন ঘ্রাণ। মাঘ ফুরালেই বসন্ত আসে। নদ নদীর ঐ জোয়ারে ভাসে। বর্ষা ফুলে থৈ থৈ জল। বিল ঝিলে ঐ কলমি লতা ভাসে। চন্দ্র মাসে অমাবশ্যা এলে ঝর ঝর বৃষ্টির ঐ বাদল নামে।


খনার বচন মেপে ভুঁইয়ে বীজ দিনু পুঁতে দ্যাখো ঐ মাটি ফুঁড়ে গজিয়েছে চারা মন্ত্র জঁপে জঁপে।
======


মুখ ফেরালেই


মুখ ফেরালেই
চোখে চোখ! অন্তদহন
পোড়ায় অহর্নিশি;


কড়া নারে ঐ
বৈকন্ঠের উইলে যা ছিল
আদি অন্ত!
তা ছিল মিথ্যা
ছলচাতুরি;
দেরাজ খুলে পঠন ক্রিয়ায়
পাওয়া গেল তা।


ফণিমনষার ডালে
সবুজ অঙ্গজুড়ে কাঁটার বৈরাতন
পোকা মাকড়র আসছে ছুটে;
গায়ে যে তার কাঁটার ঘ্রাণ।
=====


ভগ্ন দশায় যে ক্ষত!


বার বার ভেঙ্গেছি। পথে যেতে যেতে। দ্রোহের ছক ছিল না চেনা। তাই তো ভগ্ন দশায় ক্ষতের বিস্তার রুঢ়। নীল বর্ণ ধারন করেছে। যাতনা আর দ্রোহ এখন মিলেমিশে একাকার। যাকে বলে আত্ম দহন চিতা পোড়া ছাই।


এমনি দ্রোহে পোড়া ছাই উড়ায় বাতাসের কুন্ডলি। ছড়িয়ে পরে দিক বিদিকে।
=====


যাতনা যত সব


আর কত দিবে? যাতনা যত সব ছিল তোমার। সব তো এখন বুকের খাঁচায়। বুকের পাঁজড়ে। ভাটিতে পরে থাকা কাদার মতো থকথকে আদলে সেঁটে আছে নির্বোধের মতো। ওরা এখন আমার জিম্মায় চিরদিনের মতো আশ্রয় গেরেছে।


ওরা এখন তোমার ধারেও যায় না। তোমার কোন কথাও শুনার প্রয়োজন মনে করে না। তোমার অতীত অভিমান আমার সর্বস্ব, একান্ত আমার বুনে গেছে।
======


০৭, চৈত্র/বসন্তকাল/১৪২৩