-------কালে কালে মানুষ সর্বহারা


অফিস, বাসা, বেড়াবার সময় কই?
অফিস তো ছুঁয়ে থাকে পিচ ঢালা পথে, হরিহর ফুটপাত
আম জনতার পদভার, পদ শব্দে মুখরিত।
পথের পাঁচিলে সবুজ পাতা, ফুল
কড়ই গাছের পাতার ফাঁকে নীলাকাশ,সাদা মেঘ উড়ে যায়।
কতক সময় পিচ ঢালা পথ
টেম্পু, বাস, ধরাধরি ঠেলাঠেলি
ঘামের চিটচিটে গন্ধ মেঘে অফিসে ঢুকা।


কপি পেষ্ট ইমেইলে চোখাচখি
ভিজিটরের জন্য লেটার, হোটেল বুকিং
কবে নামবে তিনি, বস জিগায় মুডে?
ভিজিটরের ভিজিটের প্লান সিট রেডি তো?
ব্যাংকের রিপটের কপি চাই এক্ষনি;
সারা দিন অফিসে কাজের কিছু তো হয় না?
চায়ের টেবিলে না না গুঞ্জন ভাসে কেন?
সিডিউল সারা! ফোনে কথা হবে, আছে বেশ তাড়া
প্রজেক্টের মিটিং সেক্রেটারি দিশে হারা।
মতান্তরে, বেশ চাপাচাপি কাজে যেন না শুনি
নানা অজুহাতে ফাঁকি; ঝেড়ে কেশে বলে উঠে মতিন
বস এবার বেতন একটু বাড়ান, আর যে চলে না
ছেলে মেয়েদের স্কুল, টিউশন ফি,বাসা ভাড়া!


শহরে চাকুরি জীবি, সবাই জানে শহরে থাকা
বিলাস বহল জীবন, আরাম আয়েশে কাটে সারা জীবন!
কেউ কেউ একটি প্রতিষ্ঠানে দশ,পনের বছর যাবত কর্মরত
আবার সারা জীবন কাটিয়ে যায়;
অথচ নেই কোন প্রভিডেন্ড ফান্‌ড! নেই বাসা ভারা!
নেই চিকিৎসা ভাতা!
মোক্তা একটা টাকা ধরে চলে, বছরের পর বছর।


অথচ উত্তর আধুনিক কালে, আধুনিক নগরের বাসিন্দা
পুঁজি অধিকার সব যায় রসাতলে, কালে কালে মানুষ সর্বহারা।
তাপিত দূভোগে সর্বদা দিশে হারা।


১৪২৬/শরতকাল/ভাদ্রমাস।