---সন্ধ্যাবতীর জলজ রোশনাই


অগ্রহায়ণে চুইয়ে চুইয়ে বানের পানি নিঃশেষ!
ক্ষেতের তলানীতে জল ডুবা নাড়ায়;
নেতিয়ে পড়া গামর ধানে সবুজ শিষ
ঔষধি শীর্ণকায় গুনে গুনে সোনালি রং ধরে!


সন্ধ্যাবতীর জলজ রোশনাই, পুকুর, ডোবায়
বান ভাসা লাল স্বচ্ছ জল! দারকিনা ঝাঁক, লালাভ শেওলা
পুকুর কোনে কচুরি ঝোপে, ডাহুক-ডাহুকী আহ্লাদে হাঁটে
চারদিক সোনা ধানের মৌ মৌ বাসনা ছড়ায়;


দিনভর রৌদ্র ভরা বাতাস মাখে, সন্ধ্যাবতী!
ঢলে পরা বেলায় সুবর্ণ মায়া সোনা ধানের রূপে মজে
গহন লাগা লজ্জাবতী যেন, প্রেম বিরহের হাঁপর টানে!


বধুয়ার উঠান জুড়ে এখন অমরাবতীর প্রেম উচ্ছ্বলায়
পাতা ঝরা সজনে ডালে বসে তিলা ঘুঘু ডাকে
ধরিত্রীর অনামি প্রেম বাসনার বিরহী মূর্ছনা!


১৪২৫/অগ্রহায়ণ/হেমন্তকাল।