_______বৃত্তের শরীর


একটা পদ্য
আমাকে একটা পদ্য দিবে? হাজার বছরের পুরানো
খসে পড়া ইটসুরকির মতো
অমাবস্যার রাতের আঁধার মাদকতায় পূর্ণ
আঁধার স্ফুলিঙ্গ জড়ায়ে; জড়িয়ে
কতক উঁচু পাহাড় গড়ার প্রত্যয়ে?
দিক বিদিক্‌ হারিয়ে
এমন কার্তিকের সাঁঝে সমুখে বাড়ী ফেরার তারায়
এক ঝাঁক পঙ্খির মতো সদা তৎপর
বার বার ফেরার পথে সাঁঝ আঁধার নামে।


একটা পদ্য
দিবে আমাকে? ছন্নছাড়া অগছালো
মতিভ্রম পথিকের মতো বার বার একই পথেই হাঁটা।
চক্রাকার বৃত্তের বহু ভাঙ্গার
একটা কুঠার চাই আমার!
বৃত্তের শরীরে ভোতা কুঠারে আঘাত
আঘাত হানতে হানতে একদিন বৃত্ত ভাঙ্গবেই
সুরঙ্গ নয় সরল পথ বেরুবেই
সে পথের পথিকের নিশানা উড়ে
হ্যামিলনের বাঁশি বাজিয়ে বাজিয়ে বেলা গড়িয়ে
সাঁঝ নামে; আমার আঙ্গিনা আঁধারে ঢাকে
অজান্তে আমারই!
সতরঞ্জির সাত রং ধীরে ধীরে মেইয়ে যায়
জোনাক জেগে উঠে; ঝিঁঝিঁ পোকাদের ডাকে
আঁধার আঁকড়ে ধরে আমার বৃত্তের শরীর।


২১ কার্তিক ১৪২৯