---কালের অনন্য আঁধার


==একলা বটে


একলা তুই
একলা মন, এলে যখন একলা, চন্দ্র বল, সূর্য বল
একলা তারা আলো ছড়ায়
আঁধার হলেও একলা রয়!


এই যে আমি
তুই সেও তো,একলা বটে যে যার মতো সতন্ত্র
একলা পথিক একলা মানুষ
একলা পাখি একলা পশু!


একটাই জীবন
একলা আমি, মন বলে তাই সাথে সাথে
পথিক বলে একলা হাঁটি
একলা যেতে হয় ফুরালে জনম!
একলা আমি


===কালের অনন্য আঁধার


শূন্য খাঁচায় একটা বিন্দু
সিন্ধু র তালা নাই, সেই বিন্দুতে কে বা রয় কে বা সয়?
সিন্ধু সে তো মহাশূন্য, কালের অনন্য আঁধার!
সেই আঁধারে হারিয়ে গেলে, মর্মমূলে ঠিকানা না রয়
কোথায় উত্তর, দক্ষিণ সেথা, পূর্ব -পশ্চিমে বালাই নাই
উপর তল সব শূন্য খোল; চোখের তারিফে নাই দিশা
নিম্ন তল কত কত জল? এ সবের নাই কোন ছক আঁকা
সেই তবে শূন্য তল বুঝিবার নাই দিশা, যেন মরীচিকা মেশা!


শূন্য খাঁচায় একটা বিন্দু
বৃত্তে র এক মহা রণ; সাধিতে সাধিতে জনম গেল
বৃত্তে র পাড়ে রয় পড়ে; ঘুরে ঘুরে একই পথে হাঁটা
একই পথে ফিরে আসা, বিনা জপে না যায় পথের কাঁটা।


==== ভুতু সোনা পদ্য আঁকে


ভুতু সোনা পদ্য আঁকে
রং তুলি দিয়ে,
নদী নালা খাল বিল
আঁকে মন দিয়ে।


আঁকে ভুতু হেমন্তের মাঠ
কাঁচা ধানের শিষ,
সর্ষে ক্ষেত মন ভরালো
হলদে রাঙা চারদিক।


ভুতু আঁকে সাদা বক
এক পায়ে দাড়িয়ে,
মাছ রাঙা মাছ ধরে
কঞ্চির ডগায় বসে।


১৪২৫/ কার্তিক/ হেমন্তকাল।