_______দ্বিখণ্ডিত তুমি


গাছের উপর আলোক লতার ঝাড়
এমন শ্রাবণে এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে; মেঘের দ্রোহের
হাওয়ার কার্নিশে ছুটে চলার প্রতাপ; তোমার ছেলে বেলা
ঠিক যেন শ্রাবণ মেঘের দেয়ালে রংধনু মেইয়ে যায়।
ভিজে সারা উঠান
কাদায় তোমার পায়ের ছাপ আঁকে; সজনে পাতায় নিঙ্কড়ে পড়ে বৃষ্টি ফোটা
বৌ কথা কও ডানা ঝাপটায় সজনে ডালে; পুইমাচায় আলোক লতা চক চক
আলোর ঝলকানিতে যেন তোমার শৈশব ফুরায়।


শ্রাবণ মেঘ মল্লার গরজে
কিশোর অনন্ত প্রতাপ হরষে; যেন হংসের জলকেলি শ্রাবণ ঘন বরষে
দস্যিপনার কত কত প্রহর হারায়? শ্রাবণ বাদলে আঁধার রাতের সর্বনাশে
স্বপ্ন গুলান মালা গাঁথে শ্রাবণ জলের মৌনতা।
স্বপ্নের বিরামহীন ভাসান
মেঘ মল্লার উচ্ছ্বসিত বাদল অভিমানে; পদ্মর গায়ে কি শিহরণ?
যৌবন হাঁপর টানে নিরবে চুপি চুপি; কত কথা ফুল, পাখির, লতার সনে?
জলে ভেজা লজ্জাবতীর আঁচড় টেনে দেয় শরীরে তোমার।


এমনি ঋতুর পরতে পরতে
প্রভাব বিস্তর জল, খরা গায়ে মেখে; তুমি নিত্য খণ্ডিত হতে থাকলে
স্বপ্ন মেইয়ে যায় নতুন স্বপ্ন জুড়ে; কবিতার আলখেল্লায় সে কি শব্দের বুনুন?
আঁচলে তোমার নীল আস্তর ঘন শ্রাবণ বরষে।


তুমি খণ্ডিত হতে থাকলে
ঋতুর বিরামহীন চঞ্চলতায় অস্থির স্বপ্ন মাখো; সাঁঝের গায়ে উড়ন্ত বালিহাঁসের পথ ধরে
শীর্ণতা সাঁঝ আঁধারে রাত্রি নামে; স্বপ্ন ঘোর প্রবঞ্চনায় বার বার নিদ্রা হারায়
কুসুম মাখা প্রত্যুষে আবার নতুন স্বপ্ন দোলায়।


আজ ৫ শ্রাবণ ১৪৩০