তোমরা কি জানো
এই শহরে যখন রাত নেমে আসে
একজন কবি তখন অতন্দ্র প্রহরীর মতো
গণতন্ত্র খুঁজে বেড়ায় গলি পথ ধরে ?
তোমরা যখন সুখের সায়রে অবগাহন করো
ঠিক তখন,
ফুট পথের অভুক্ত মানুষেরা
ডাস্টবিনে সমধিকারের ব্যানারে মুড়িয়ে
পচা বাসি খাবার গলাধঃকরণ করে ক্ষুধা মেটায়,
ওহে মানুষেরা
জানালার কাঁচ খুলে মাঝে মাঝে একটু দেখে নিও
এই অভুক্ত মানুষেরা কি ভাবে বেঁচে থাকে।
রাস্তার নিওন বাতি গুলি মাঝে মাঝে
লজ্জা কে সংবরণ করতে না পেরে নিভে যায়,
আমি তাকিয়ে ভীষণ বিব্রত হই
মনুষ্যত্বের এ জ্বলন্ত চিতায় নাগরিকেরা কি করে ঘুমায় ?
এতটুকু উত্তাপ কি তাদের হৃদয় স্পর্শ করতে পারেনা  ?
বিশাল বিলাসী প্রাসাদের প্রতিটি গাঁথুনি তে যাদের ঘাম লেগে আছে
তাদের ঠিকানা বুঝি খোলা আকাশের নিচেই থেকে গেলো ?
রাত গভীর হয়ে এলে
নির্বোধ গণতন্ত্র রাজপথ ধরে হেঁটে যায়
মাঝে মাঝে পোস্টার ব্যানারে নিজের উলঙ্গ অবয়ব দেখে আঁতকে উঠে ,
নিগৃহীত পতিতা র মতো মুখ লুকিয়ে কেঁদে যায়
সে দৃশ্য কারো চোখে পড়েনা ,
এ পৈশাচিক সমাজে গণতন্ত্র আর পতিতা র মাঝে দূরত্ব কই ?
সুযোগ পেলেই তো খুবলে খাবার আয়োজনে
মানুষ রূপী হায়েনা রা দল বেঁধে চড়াও হয়ে মেতে উঠে পিচাশের মতো।
গণতন্ত্র আজ বড়োই কষ্টে আছে
ধর্ষিতা হয়েও কারো কাছে বলতে পারছে না তার অপরিসীম কষ্টের কথা,
কবি রাত জাগে
গণতন্ত্রের উপর পৈশাচিক নির্যাতনের কান্না শুনে
কবিতা লেখে ,
পত্রিকায় ছাপা হয়না সে লেখা
কেননা - সেটি ও এক বধ্য ভূমির মতো
অসংখ্য কবিতার সলিল সমাধিস্থল
সেখানেও গণতন্ত্র নীরবে কাঁদে।
ক্রমে রাত শেষ হয়ে আসে
প্রাচীরের কীটেরা আবার কোলাহলে মেতে উঠে
রাতের মুখে মুখোশ লাগিয়ে বিচরণ করে ,
বঞ্চিতেরা মাটি কে ভালোবেসে সব যন্ত্রনা ভুলে যায়
দেশ মাতৃ কাকে বড্ড ভালোবেসে দিন রাত্রির
যন্ত্রনা লাঘব করে অপার ত্যাগের মহিমায়
গণতন্ত্র ! হায়রে গণতন্ত্র !!