বন্ধু
আমার অভিশপ্ত সময়ের কথা শুনবে ?
নিষ্ঠুর সময় আমাকে যে চাবুক মেরে ক্ষতবিক্ষত করেছে সে কষ্টের কাহিনী শুনবে ?
শেষ বিকেলের মিঠে রোদ মুচকি হেসে
মৃদু পায়ে পশ্চিমে হেটে গেলো
আমি শুধুই তাকিয়ে দেখলাম
সে সময় আমার হৃদয়ে কি সুর বেজে ছিলো
তার একটু মূর্ছনা তোমাকে শুনা তে চাই আমি ?
জানি
এ ব্যস্ত জীবনের কঠিন বাস্তবতার কোনো ফাঁক নেই,
বিরামহীন এ ছুটে চলার সময়ে পথিকের কথা কেই বা শুনবে বলো ?
হাজার বছর ধরে রাজপথ, মেঠো পথ, অলিগলি শুধুই চোখের জলে তৃষ্ণা মিটিয়েছে
উষ্ণ রুদ্দুরে বাষ্প হয়ে যাওয়া অনন্তকালের
এ সত্য কেউ কোনদিন জানতে চায়নি।
কথা ছিলো
মাটির কলসি কাকে ঘোমটা উড়িয়ে পড়ন্ত বেলায় জল নিয়ে ফেরার পথে কথা হবে,
আমি অধীর অপেক্ষায় থাকলাম,
ডাহুকেরা ঘরে ফিরে গেলো
সাদা বক গুলির পাখার শব্দে অন্ধকার হাতছানি দিলো
গভীর বিশ্বাস লালন করে সামনে তাকিয়ে দেখি চারদিক কালো চাদরে ঢাকা পরে গেছে
আমি তাও তাকিয়েই দেখলাম।
এই দৈব দুঃসময়ে
মুখ ফেরানো র সংস্কৃতি কে আমি সাহসের সাথে মোকাবিলা করেছি,
স্বার্থপরতা র অদৃশ্য জালে সম্পর্ক যখন আটকে যায়
দমকা বাতাস যখন নাটাই থেকে সুতা কে কেড়ে নেয়
তখন আকাশটা অট্টহাসি দেয়,
আমি সে বিরক্তিকর সময়ের আদ্যপ্রান্ত তোমাকে জানাতে চেয়েছিলাম
তুমি শুনবে ?
আমি আমার বুকে হাত দিয়ে
নিজেকে ভীষণ বিশ্বাস করি,
অবিচল মনোবল দিয়ে স্রোতের মুখে দ্বীপ গড়ার প্রয়াস করি,
তুমি আসলে
আমি সে সাহসী সময়ের কথাগুলিই বলতাম।