তুমি যদি আসো
আমাদের চলনবিলে,
নৌকায় বেড়াবো
আর ঘুরবো দুজন মিলে।


অথই জলে হারিয়ে যাবো
খেলবো লুকোচুরি,
এক সাথে হাঁটবো দুজন
আর কুড়াবো নুড়ি।


তুমি যদি চাও তাহলে
দেখিবো সন্ধ্যা আর গোধূলি,
মুক্ত বাতাসে উড়বে তোমার
রেশম নরম চুলগুলি।


আরো দেখিবো মোরা
সাদা বক উড়ে যায়,
ডানা মেলে দিগন্তে
চড়ে মেঘের ভেলায়।


আরো আছে সবুজ শ্যামল
ধান ক্ষেত পাখিদের মেলা,
পশ্চিম দিগন্তে লাল আভা
ছড়িয়ে অস্তগামী বেলা।


জেলেরা হরেক রকম মাছ ধরে
উৎসবে মাতে রাতদিন,
কখনো শুনা যাবে বিরহের সুর
যেন বেদনার বীন।


হঠাৎ-ই দেখিতে পাবে
সাজানো নৌকায় কতো আয়োজন,
আনন্দের ঢেউ আছড়ে পড়বে তীরে
যাচ্ছে বনভোজন।


আবার কোথাও দেখিতে পাবে
একদল ছেলে পানিতে নেমে,
করছে খেলা দিচ্ছে ডুব
তারা থেমে থেমে।


শাপলা শালুকে ভরপুর
আমাদের এই চলনবিল,
দিগন্ত মিশে জলের সাথে
যেন নীলিমায় নীল।


এমন সুন্দর প্রকৃতির মাঝে
এসো হারিয়ে যাবো মোরা,
তুমি আসবে আমাদের চলনবিলে
সাজাবো বসুন্ধরা।


বাংলাদেশের বৃহৎ বিল নাম চলনবিল এই চলনবিলের পাশেই আমাদের বনলতা সেনের শহর এই চলনবিল বর্ষাকালে ফিরে পায় তার নব যৌবন, আর তখনই আমার এই কবিতাখানি চলনবিলের বুকের উপর দাঁড়িয়ে লিখেছিলাম- এই কবিতা।