যে মালা আমি গেঁথেছিনু
জীবনের কোন এক ছন্দোময় ক্ষনে
তিমির অন্ধকারে তা হারিয়ে ফেলেছি।
পরম মমতায় আমি আগলে রেখে
গেয়েছিলেম জীবনের জয়গান
কখনো ভাবতাম কবি হবো
কবিতা লিখে লিখে ভরবো অসংখ্য ডায়েরি।
মাঝে মাঝে মনে হতো,
কবিতায় ধ্বংসযজ্ঞ আয়োজন করি
কাল ভৈরবী হয়ে।
আজ প্রশান্তির ছায়া তলে
ফেলি নিশ্বাস
কল্পনার অবারিত বিস্তৃর্ণ মাঠে।
যে মালা আমি গেঁথেছিনু
তার স্পর্শ নিতে ছুঁয়ে দেখি
ভোরবেলাতে আলতো করে।
যে ফুল আমি জীবনের ফুলদানিতে
সাজিয়ে রেখেছিলেম, তার সুগন্ধ
মেখে নিবো বলে সমস্ত তনুমনে
আমি অনাবিল সুখ অনুভব করতাম।
আমি সে ফুল ফুলের মালা
আর ফুলদানি ছিঁড়ে ক্ষত-বিক্ষত করেছি।
নিজেই নিজের হৃদয়টা করেছি বিদীর্ণ
কতোবার শুধিয়েছি নিজেকে
মিথ্যা ছলনায়, অস্ফুটস্বরে বলেছি
বারবার যে ফুলে কখনো হয়না মালা
তার স্পর্শ গন্ধ মাধুর্য
কি এসে যায়।
ভুল করে আমি সে ফুলেরই গাঁথি মালা
জীবনের এখনো এই অবেলায়।
জীবনের কোন এক ছন্দোময় ক্ষনে
যে মালা আমি গেঁথেছিনু।