বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর
শব্দটি তার মিষ্টি মধুর
যেনো খুকি নূপুর পায়ে নাচে,
পাশের মাঠে নতুন জলে
পূর্ণিমা চাঁদ ওই যে খেলে
ঢেউ তুলে যায় একের পাছে পাছে।


দেয়া ডাকে গুরুগুরু
বর্ষা টার ও হলো শুরু
কদম গাছে কদম ফুটে হাসে,
ডাহুক ডাকে জলের ঝোপে
মাঠ সেজেছে নতুন রূপে
শাপলা পদ্ম পাপড়ি মেলে ভাসে।


ডানপিটে দুষ্ট যতো
দল বেধেছে খুশি মতো
এ গাঁও ও গাঁও যাবে সাঁতার কেটে,
ভাটিয়ালী গানের সুরে
নানান রঙের বাদাম উড়ে
পসরা বোঝাই নৌকা যাচ্ছে হাটে।


এমন দিনে মনের মাঝে
গোপন গানের কি সুর বাজে
কারে শুধাই কেমন করে ভাবি আমি নিজে,
বর্ষা এলে মেঘের রানী
জলে খেলে নাও দৌড়া নি
দেখে আমার মন যে করে কি যে ?


অবুঝ মনের সবুজ পাতা
উঁকি দিয়ে মনের কথা
পরান খুলে বলছে যেনো কারে ?
ঘোর বরষার এমন ক্ষণে
মনের ব্যথা মনের কোনে
বৃষ্টি হয়ে আকাশ হতে ঝর ঝরিয়ে পরে।


বৃষ্টি স্নাত পুণ্য জলে
হৃদয় জাগে হৃদয় তলে
আকাশ তলে বসে মিলন মেলা,
বৃষ্টির ভাষা বৃষ্টি বুঝে
অন্তরে অন্তর খুঁজে
বর্ষা মানেই মনমানসির বৃষ্টি নিয়ে খেলা।