এ অন্ধকার রাত পোহাবেই
রুদ্ধদ্বার খুলে সোনালী সূর্য্যের আলো দেখতে পাবে সহসাই
সে মোক্ষম লগ্নে নিপিড়ীত মানুষেরা মেতে উঠবে
সবুজ শস্যের মাঠের শিশির হেসে হেসে
কৃষকদের স্বাগত জানাবে,
কৃষাণীর শাড়ির আঁচলের ফাঁকে
খুশির সংকেত উঠানে ছড়িয়ে পরবে
মুখরিত নতুনের উৎসবে।


কষ্টের ভাসান সংগীতে
অযত্নে পরে থাকা তানপুরার তারের মূর্ছনায়
সবুজ পত্রপল্লব নেচে উঠবে,
ক্ষুধাতুর শিশুরাও দাওয়ায় বসে
ভুলে যাবে ক্ষুদার্ত  দিনের বেদনার কথা,
এমন দিনের আলোর রশ্মিতে তুমি আমি সবাই
মুক্তির মহান নায়কদের স্বাগত জানাতে ব্যস্ত হয়ে থাকবো
মহামুক্তির আগমনী আয়োজনে।


সেদিন গোলাপের পাঁপড়ি ছিটানো হবেনা
নির্যাতিত মানুষেরা রক্তমাখা জীর্ণ পরিধান নিয়ে
রাস্তার দু'ধারে ফুটিয়ে তুলবে ভিন্নরকম পট পরিক্রমা ,
অভাবক্লিষ্ট হাড্ডিসার মানুষেরা প্রাণের উচ্ছাসে
উদাত্ত কণ্ঠে বুনবে ছন্দভরা নতুন সংগীতের মূর্ছনা,
তানপুরায় বাজবে নতুন সুরধ্বনি
সেদিন কষ্টের প্রহর গুনার কাল গত হবেই
অত্যাচারিত মানুষেরা পরম প্রাপ্তির সুখ
অকৃপণ বিলিয়ে দেবে পৃথিবীর কাছে।


শিশিরস্নাত শিউলির পবিত্র পাঁপড়িতে
মহানায়কের পদস্পর্শে ধন্য হবে গাঁয়ের মেঠো পথ,
মাটির ঘর কিংবা
হেলান দিয়ে থাকা নড়বড়ে তাল পাতার ছাউনিতে যাদের জীবন
তারাও ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে আসবে নতুন দিনের আনন্দে।


সে দিন, সে সময়টা
একান্ত পিছিয়ে পরা মানুষদের হবে,
রাত পোহাবে সহসাই
রাতের আঁধার কেটে নতুন দিনের প্রসব যন্ত্রনায়
পৃথিবীতে সৃষ্টি সুখের উল্লাস আসন্ন,
আর একটু-
আর একটু পরেই সে আকাঙ্ক্ষিত শুভক্ষণ
দুয়ারে আসবেই
দৃঢ় সে বিশ্বাস বুকে ধরে অধীর অপেক্ষায় তাকিয়ে আছি,
এ অন্ধকার রাত পোহাবেই।