আমি আজ একুশের কথা বলতে এসেছি-
যে একুশ কেড়ে নিয়েছিলো আমার ভাইয়ের তরতাজা প্রাণ
সালাম,বরকত, রফিক,জব্বার, সফিউর,
রক্ত ঢেলে দিয়েছিলো আরো কতো নাম না জানা নাম।
আমি একুশে ফেব্রুয়ারি র কথা বলতে এসেছি-
মাতৃভাষা বাংলা চাই, বাংলা আমার মায়ের ভাষা
কেড়ে নিতে দিবো না, মানিনা মানবো না,
শ্লোগানে শ্লোগানে উত্তাল রাজপথ
চারিদিকে শকুনের আস্ফালন অপ্রতিরোধ্য দাবী।
আমি বায়ান্নোর একুশের কথা বলতে এসেছি-
স্বাধিকার আন্দোলনের বীজ রোপিত হয়েছিল সেদিন,
অলিগলি রাজপথ মাতৃ ভাষার দাবী তে তোলপাড়,
নিরস্ত বাঙালির উপর চললো গুলি,
শহিদ হলেন যারা,
আমি আজ তাঁদের কথা বলতে এসেছি
অনারম্বর আনুষ্ঠানিকতায়।
আমি একুশের কথা বলতে এসেছি-
যে একুশ বার বার ফিরে আসে আমাদের মাঝে,
অতীতের সংগ্রামের ইতিহাস জানিয়ে দিতে,
শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি, আর কন্ঠ মিলাই-
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি।
আমি একুশের কথা বলতে এসেছি-
যে একুশে গাছে গাছে ফুটেছিল শিমুল,
পাখিরা করেছিল গান, ফুলের সুবাস ছড়িয়েছিলো,
ঝর্না ধারা, নদী ছিল বহমান আকাশে,বাতাসে
অশ্রু ধারায় মিশে ছিলো লুটিয়ে পড়া কিছু নাম।
আমি সেই একুশের কথা বলতে এসেছি-
ক্ষত- বিক্ষত করে দিয়েছিলো হিংস্র হায়েনা,
এখনো থামেনি আমাদের হৃদয়ের কান্না।
আমি কি আর লিখবো আমার কবিতার খাতায়,
একুশ এলেই তাই যেন ভাই হারানোর বেদনায়।
অশ্রুসিক্ত হয়ে যাই ক্ষণে ক্ষণে ধিক্কারে যন্ত্রনায়।
খালি পায়ে ফুল হাতে কাক ডাকা ভোরে,
আমরা সবাই দাঁড়িয়ে যাই শহিদ মিনারে।
এ আমার অহংকার এ আমার দেশ,
আসুক ফিরে সবার হৃদয়ে মন ও মননে
অহংকারের একুশ।