হলুদ খামে উড়ো চিঠি লিখে
আগের হেমন্তকে আনব ডেকে
সেই যে শিশির ভেজা ভোর
হিম পরশ দিত খুললে দোর।


ভোরের বায়ে সেই দূর্বা ঘাসে
শিশিররা ব্যস্ত মুক্তো চাষে
খালি পায়ে মুক্তো কুঁড়িয়ে
প্রাণটা কত যেত জুড়িয়ে।


ঘাসের ডগায় ধানের পাতায়
কুয়াশারা জড়িয়ে লতাপাতায়
সাঁঝ সকালে পুকুর পাড়ে
ভেজা পথটা ঐ ডোবার ধারে
চলতি পথে ঘাসের ছোঁয়ায়
শিরশিরিরে পা’টা ধুঁয়ায়।


হেমন্ত জানায় শীতের খবর
শীত আবেশে মনটা জবর
খুশির নাচন আসে ধেয়ে
শীত সকালের খবর পেয়ে।


সেই হেমন্ত হারালো কই?
হাত বাড়িয়ে ডাকে যে অই!
যে হেমন্ত শিশির নিয়ে আসতো
হিম পরশে আমায় ভালবাসতো।
যে হেমন্তের শিউলির বোঁটায়
শিশির পড়তো ফোঁটায় ফোঁটায়।