[আলোর দীপাবলী]


রামচন্দ্রের নির্বাসন শেষে
অযোধ্যা আগমন
ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালায়
অযোধ্যাবাসীগন।
রাজধানী আলোয় সাজে
অতি ঝলমলায়
আলোকোজ্জ্বল চারিধার
নগরী অযোধ্যায়।
সারি সারি প্রদীপ-মালায়
আলোকিত ভুবন
সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে
নগরবাসীগন।
অপেক্ষমাণ নরনারীগন
দুধারে দাঁড়াইয়া
একটিবারের দর্শন লাগি
উদ্বেলিত হিয়া।
রাম সীতা লক্ষ্মণ হনুমান
ফেরে অযোধ্যায়
ভরত সহ অপর ভ্রাতাও
গৌরব বাড়ায়।
দশরথ নন্দন ঘরে ফেরে
খুশির জোয়ার রাতে
পরমপ্রিয় রাজাকে পেয়ে
উৎসবেতে মাতে।
পুরাকালের ঘটনাকেই
আজ করি স্মরণ
দীপাবলী কালিকাপূজা
তারই প্রতিফলন।
আলোকের এই উৎসব আজ
দীপাবলীর রাত
প্রথাতে তো ছিলনা কোথাও
বাজির উৎপাত।
কোথার থেকে জুটল এসে
শব্দের সন্ত্রাস
জনমানস বিপর্যস্ত হল
ওষ্ঠাগত শ্বাস।
আর্জি জানাই সকল কাছে
আসুন ব্রতী হই
পরিবেশের রক্ষায় যেন
সংকল্পবদ্ধ হই।
বারুদেরই ব্যবহারের
প্রচার করি ক্ষতি
শব্দ বিহীন দীপাবলী-আর
কালীপুজোতে মাতি।
উৎসব হোক আনন্দে ভরা
আলো ছড়াক প্রাণে
প্রদীপ শিখা জ্বলে উঠুক
সকলেরই মনে।
আলোর রোশনাই ভাসুক
আঁধার হোক দূর
পৃথিবী হোক কলুষমুক্ত
বাজুক নতুন সুর।


[দুবাই, ২৬শে অক্টোবর ২০১৯]
©চিন্ময়


বিঃদ্রঃ পাঁচালীর সুরে পড়লে রামায়নী অনুভবটা পাওয়া যেতে পারে।