[ ফিরে দেখা শিক্ষক দিবস ]


বছর বছর আসে ঘুরে আজকের এই দিন
মনে করায় বাবা-মায়ের না শোধ হওয়া ঋণ।
জন্ম থেকেই বাবা-মায়ের শিক্ষা দেওয়ার শুরু
তাঁরাই হলেন আমার কাছে প্রথম শিক্ষা গুরু।
পরের শিক্ষা ইস্কুলেতে বেজায় রাগী স্যার
হাজার পেটার পরেও স্যারের জুড়ি মেলাই ভার।
গোদের ওপর বিষের ফোঁড়া অভিভাবকের রায়
বেশটি করে পেটাবেন স্যার বাঁদরামি যাতে যায়।
ক্লাস রুমের কোলাহলের মুহূর্তে সব শান্তি
স্যারের ভয়াল চাহনিতে নিমেষেই প্রশান্তি।
যতই কড়া চোখে মুখেই দরদী ছিলেন তাঁরা
নাম ধরে সব খবর নিতেন অনুপস্থিত যারা।
সন্তানবৎ দিতেন স্নেহ পেতেনও সম্মান
তাঁদের ছিল সেই সমাজে সবার উচ্চে স্থান।
তাঁদের থেকে কেউ ছিলনা সম্মানেতে বড়
ছিল শাসন স্বল্প বেতন তাগিদ অতি বড়।
শাসন করার সাথে সাথেই আদর ছিল ভরা
ভালো কিছু করলে ছিলই উৎসাহিত করা।
কাছে ডেকে পিঠ চাপড়ে বলতেন এই দ্যাখো
কারোর কিছু আটকে গেলে এর কাছেতে শিখো।
ওর যদিবা আটকিয়ে যায় আমরা আছি কাছে
তার সাথে যোগ করে দিতেন ভয় পেয়ে যাই পাছে।
সবার মূলেই লক্ষ্য ছিল সঠিক শিক্ষা দেওয়া
বলতেন সদা স্থির লক্ষ্যে শুধুই এগিয়ে যাওয়া।
মানুষের মত মানুষ হয়ো থেকো সুখেই ভালো
স্কুলের সাথে বাবা-মায়ের মুখটা কোরো আলো।
পঠন-পাঠন নিয়ম নীতির শিক্ষা দানের পালা
বেড়ে ওঠার সাথে সাথেই বাড়ত জ্ঞানের ডালা।
মানুষ গড়ার ব্রতও ছিল নয়তো শুধুই পড়া
আমার 'আমি'র মজবুত ভিত তাঁদের হাতেই গড়া।
আজকে গেছে বদলে সেদিন সেই স্যার আর নেই
পালটে গেছে যুগের হাওয়া সে মানবিকতা কই!


[দুবাই, ৬ই সেপ্টেম্বর ২০১৯]
©চিন্ময়