[কালো ইতিহাস]


দিন আসে চলেও যায়—
সভ্যতার সময় থমকে দাঁড়ায়
হার মানা মানবিকতার সমুখে,
রক্তাক্ত ইতিহাস সাক্ষী থাকে
বেদনা আর ক্ষয়িষ্ণু সমাজের
জলন্ত উদাহরণ হয়ে।


নিরপত্তার বেড়াজালে আজ
সর্ব স্তরে ঘুঘুর বাসা,
ক্ষমাসুন্দর মানবিকতার ইতিহাস
অষ্টেপৃষ্ঠে বন্দী আজ—
নেকড়ের মত লোলুপ দৃষ্টির নাগপাশে।
চরম অসহায় আর সুরক্ষাহীনতায়
পরিবেষ্টিত সমগ্র নারীজাতি।


একের পর এক অঘটন ঘটে চলে—
ইতিউতি দু-চারটি সমাবেশ হয়
মন্দির বা গীর্জায় চলে ঘণ্টা ধ্বনি
মোমবাতি হাতে চলে পথ পরিক্রমা
তারপর সব শেষ—
কালের অন্ধকারে ঢাকা পড়ে
সভ্যতার নির্লজ্জ বুনিয়াদ,
রক্তের অক্ষরে লেখা হয়
আরও এক কালো ইতিহাস।


নারীরা কি সত্যিই নিরাপদ আজ?
এ প্রশ্ন আজ আপামর নাগরিকের—
সমগ্র মানব সমাজের।
মুষ্টিমেয় কিছু দুরাত্মার দৌরাত্ম্য
পশু সমাজকে হার মানিয়ে
সভ্যতাকে ঠেলে দিচ্ছে রসাতলে,
নির্মল সুস্থ সাবলীল বিকাশ আর
সার্বিক সুরক্ষার মাঝে বসাচ্ছে
অমানবিকতার কালো থাবা।


ন্যায়বিচারের ভার যাদের হাতে,
সমগ্র জাতির সুরক্ষার ন্যায়দণ্ড
তুলে দেওয়া হয়েছে যাদের হাতে,
সার্বিক সুরক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ যারা—
পারেনা কি তারা দিতে এর মোক্ষম জবাব!


এ এক চরম প্রশ্নের মুখোমুখি আমরা
কে দেবে সুরক্ষা এই মাতৃ জাতির!


[চামরাইল, হাওড়া, ২রা ডিসেম্বর ২০১৯]
©চিন্ময়