[নরক-গুলজার]


ভেবেছিলাম নরক বাসের এবার বুঝি শেষ
ভুলের প্রমাণ হাতেহাতেই পেলাম অবশেষ।
নাৎসি স্মৃতি জাগিয়ে মনে
হিতের বদলে হিংসা এনে
রক্ত আখরে লিখিত হল কালি মাখা অধ্যায়।
তাদের কথার এবং কাজের পেলাম পরিচয়।


মেরুদণ্ড ভাঙার খেলায় জুলুম-বাজির রোষে
জাতির মেরুদণ্ডে কিনা হানলে আঘাত শেষে!
শিরদাঁড়াতে আঘাত হেনে
জিঘাংসাকে সামনে এনে
পেশির জোরের আস্ফালনের দিলে পরিচয়।
রাজ-ক্ষমতার ঘটল প্রকাশ আদিম নগ্নতায়।


বহিরাগত দলে দলে দুষ্কৃতিরা আসলো ধেয়ে
নরক যেন উঠলো ফুঁড়ে কাঁপল পড়ুয়া মেয়ে।
পাথর লাঠির দাপট হেনে
মুখের ওপর পর্দা টেনে
রুধির ধারায় সিক্ত মাটি মাতলে জিঘাংসায়।
মুখ লুকাবে কোথায় বলো আজকের লজ্জায়।


শিরদাঁড়া ভেঙে পঙ্গু করার নিয়েছ যে কৌশল
জেনে রেখে দিও পাবেই পাবে কুকর্মেরই ফল।
শক্তি দেখাও যাদের দানে
তাদের পাঠাও নরক পানে
শালীনতার বেড়াজাল ভেঙে ডাকলে বিপর্যয়।
আর কতদিন চালাতে থাকবে এমনই অভিনয়?


প্রহারেতে যার রক্ত ঝরল সে শেষে হল দোষী
বিচারের নামে প্রহসন শুধু নগ্নতা আজ বেশি।
যতই আনো হিঁচড়ে টেনে
ভীতি দেখাও গুণ্ডা এনে
চারিদিকে দেখ অনুভবে পাবে পতনের মহাভয়।
সময় এসেছে সাবধানী হও না হলেই পরাজয়।


[দুবাই, ৭ই জানুয়ারি ২০২০]
©চিন্ময়