১৭/১০/২১


হৃদয়ের ক্রুদ্ধ স্পন্দন, রক্তের কালো অশ্ব। অন্ধ রক্তের নালীতে ধমনীতে সেই খ্যাপা ঘোড়া গর্জায়।


রাতের যাত্রীর মিছিলে, নিষ্ঠুর চাকায় শব্দ তুলে শক্ত পাথুরে দেওয়ালে ও রাস্তায় ঠোকর খেয়ে স্মৃতির ভীড়ে খুঁজে চলে। তার তীক্ষ্ণ চিন্তায় প্রতিদিনের ব্যথার উৎস ফিরে ফিরে আসে, যায় না, মোছে না, অনির্দেশ - প্রতি রাতে নাম ও অবয়বহীন নেমে আসে।
চোখের পাতার সূচফোঁটা যন্ত্রনায় প্রতিটি দিনের ব্যর্থ জীবন মনে করে, তার কলুষিত প্রহরের বিবমিষা, উন্মাদ হাসি, বেজন্মা মিথ্যে আর নির্জনতা সাক্ষী রেখে সে দুনিয়া চলে যায়, থেকে যায় পথের চিহ্নটুকু শুধু।


রক্তের ধারায়, দংশন ও আর্তনাদে, ক্ষতের উপরে কড়া রোদে, মৃত জলে হিজড়ে তারার দলে, প্রতিশোধের অম্লতায় বুক জ্বলে যায়, ভাবনায় ঘন মরচে, পচা ঘায়ের মত লেখা সঙ্গী করে, দিনশেষে রাত্রির গলা চেপে ধরে ভোগান্তি, হাড় চিবোনো নিত্য নতুন ভয়াবহতা শুধু ফিরে আসে।


রাস্তা আর ফুরোয় না, গ্লাসে ভরা জল, ওষুধের বড়ি, ধাতব জিভ, স্বপ্নের মাঝে উইয়ের ঢিবি, ঝর্নার কালো নিকষ জল, রাতের পাথর জল, ভারী শূন্যতা, তীব্র নগরের কর্কশ ইঞ্জিন, সর্বত্র, কানের কাছে দূরে শহরতলি, মেট্রো ছাড়িয়ে, ভাঙ্গা ব্রীজ, ডুবো রাস্তা ফিরে ফিরে আসে গোলাকার চিন্তার মত, সংসার বৃত্তে, আমি, তুমি, আমরা কি যেন দোষ করে ফেলেছি।


দোষের নির্দোষ প্রকোষ্ঠে, আর্শির গালাগালি, বিষিয়ে ওঠা নৈঃশব্দ্য, বন্ধ্যা দিন ও রাত্রিতে, বন্ধ্যা বেদনায় আর পাপী নির্জনতায় অমানুষিক বিশ্বের এই অপেক্ষা গৃহে কেউ নেই।  আমি বহু পুরোনো, বহু চলা পথে ঘুরে ঘুরে মরি; যে জীবন চলে যায় আর কি ফেরায় সে মুখ।