হাওয়ার মুখ


চিন্ময় বসু


নাছোড় সুর্যের রগরগে বিকেল, চাষের মাঠ পেরিয়ে দীঘির পাড়ে যাবো পোড়ো মন্দিরে। কেটে নেওয়া ধান গাছের কালচে হলদে গোড়া এখন শুধু, জমি পেরিয়ে সোজা উঠেছে শক্ত ধূসর মাটির পাড়, ভাঙ্গা সিঁড়ির ইটের মাঝে রাস্তা দু দিকে ঘাস ও জঙ্গল ছাগল চরা ভূমি। ওপরে উঠেও ভাঙ্গা পিলার, মাথা হীন দেবদেবী ছড়িয়ে ছিটিয়ে।
এবার ওধার আচমকা কাঠবিড়ালী, গিরগিটি, নেউল ও সাপ । তখন আমি হাঁটু গেড়ে পাথরের বেদি তলে বিষাক্ত কালির রং, ভঙ্গ ুর মেঠো ইঁদুরের বাসস্থান গুলি সন্ধান করি। সামনে গোল উঠোন, একটা ভাঙ্গা মত দেয়াল মাটি আঁকড়ে দাঁড়িয়ে অন্ধের মত। পাশে শিকড় সর্বস্ব গাছ, বট। আলোর বৃষ্টি মধ্যে ভাঙ্গা ঠাকুরের  মাথা অস্পষ্ট, মাটি ঢাকা। পিঁপড়ের সারি চকচকে কালো পাথরের বেয়ে ওঠে নামে।  মুখ এখনো অক্ষত। এখনো হাসি হাসি মুখে সাগরের শান্ত স্বচ্ছতা। এক মুহুর্তের জন্যে হালকা সুক্ষ
বাতাসের ঘুর্ণীর মত থমকে পাক খেয়েছিল যেন মিলিয়ে গেলাম।