আবার কেন আমার গা ছুঁয়ে দিলে, তুমি তো চুপিসাড়ে, গোপনে, সশস্ত্র, এরূপ যোদ্ধা, ঘুমন্ত নগরীতে, তোমার ঠোঁট দিয়ে আমার জিভে তুমি জ্বালা ধরাও। অক্টোপাস, তুমি তো জাগিয়ে তোলো রাগ, অসহ্য আনন্দ, ও অপার প্রতিহিংসা। তাতে যা স্পর্শ করা যায় তাই পুড়ে যায় আর সর্বনাশের লোভ জন্ম হয়।


বিশ্ব জাগে মিনারের মত নিরেট,
গলে চুপসে যায়, আগুনে ধাতুর মত।
আমার ধ্বংসের মাঝে আমি উঠে দাঁড়াই, একা, নগ্ন, ছাল ছাড়ানো, নৈঃশব্দ্য, তীব্র পাথর, অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে নিঃসঙ্গ সৈনিকের মত।


প্রখর সত্য, তুমি আমায় কি বোঝাবে, আমি তোমার সত্য বা বোকা বোকা প্রশ্ন কোনোটাই চাই না। এই বন্ধ্যা যুদ্ধ কিসের, মানুষের সাধ্য নেই বোঝার, এই সজীবতা শুধু তৃষ্ণায় চরিতার্থ হতে পারে শুধু এক অস্তিত্ব, অপ্রকাশ্য, যা
জ্বালিয়ে যায় অনন্ত আগুনে।


কিন্তু তোমার প্ররোচনা, অশ্রু জল
আমার মনে তোমার শূন্যের রাজ্য বানায়।
তুমি আমার অন্তঃস্থল থেকে আমার অনামা কেন্দ্রে আমায় ভাসিয়ে দিলে সর্বনাশ হল। তোমার বর্ধিত তৃষ্ণা আমায় নির্দয় ডোবায়, তোমার অস্থির তরবারী তার কোন উপকারে আসে। শুধু তুমি ছেয়ে আছো, নামহীন, রাগী লোভী উন্মাদ পদার্থ।


তোমার অশরীরী শরীর আমার বুকে আঘাত করে। তুমি জাগাও,কপাল ঠান্ডা বরফ,আমার চোখ ঈশ্বরের দূত হয়।
বিশ্বকে আস্বাদ করি আর তোমায় ছুঁয়ে দি।
ছোঁয়ার বাইরে আমার হৃদয় শরীরের মেলবন্ধন।


প্রতিবিম্বের বিপরীতে আমার চোখে মেঘ জমে।
গভীর বিম্বকে তা অস্বীকার করে, প্রলেপ আগুন লাগে, জলের বন্যা যেমন আরো গভীর জলের ভেজা অন্ধকারকে লুকিয়ে রাখে
জীবন ও মৃত্যুকে, স্থির ও অস্থিরের সমতায়।


জয়ী কে, কে বলেছে তুমি আছো বলে আমি আছি আমার মুখ জিভ তৈরি করে তোমার উপস্থিতি, তোমার গোপন উচ্চারন, অধরা বিপ্লব বাণী বর্ণনা করতে, আমার আত্মাকে বানাতে।


তুমি কেবলমাত্র স্বপ্ন
বিশ্ব স্বপ্ন দেখে তোমার মধ্যে। তার বোবা মুখের বাণী তোমার ভাষা। যেমন বিদ্যুৎ তার দিয়ে ঘেরা তোমার জীবনের সীমানা আমি তোমার বুকে হাত রেখে ছুঁয়ে যাই রক্তের আঁধারে দূর্মুখ আর সুমুখের যেখানে চুক্তি হয়। যেখানে ভালোবাসা ভেঙ্গে দিয়ে ভগ্নকে ভালোবেসে গড়ে ফেলি এই পৃথিবী,এই নিষ্ঠুর, ভাবলেশহীন, অপরিবর্তনীয় পৃথিবীতে। অবিরল ধারায় না থেমে একের পর এক চলে আসে সেই সব  যা  তার  চাই।