কথার কথা আর বলো না, কথা তো তীরের মত। চিন্তার আগে ছুটে যায়, আওয়াজের আগে বেরিয়ে আসে। কথা ঘোড়ার মত লাফিয়ে ওঠে, বাতাসের আগে যায়, তার চিতা জ্বলে দৃপ্ত, রাত নামার আগেই ফুলকি ওঠে, আমার খুলির মধ্যে গলি ঘুঁজি রাস্তায় হারিয়ে যায় কথা।


চারদিকে পশুত্বের চিহ্ন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে, গাছের ওপরে লাল সবুজ মসের চিহ্ন, বাড়ির চিলেকোঠায় কালো শেওলা, মন্দির গাত্রে নগ্নতার বিস্ময়; তোমার ঘাড়ে, তোমার নখরে, পেটে তোমার পা উঠে যায়। তারপর বেগুনী আলোর ঝলক থেকে সাদা থেকে ডুকরে কাঁদা পর্যন্ত যতক্ষন সূর্যমুখী ঘূর্ণিত হয়ে ত্বকের উপর অনাম্নী স্বাক্ষর করে। তার চারদিকে চিৎকারে চিন্তার উপর কালো ঢেউ অন্ধ হয় ছোটে।


পাগলা ঘট্টি আমার কপালে বেজে চলে, আমার বুকে উথাল রক্তের হিস হিস, ততক্ষনে উঁচু মিনারে এক মূর্তি হেসে ওঠে, কথা দিয়ে কথার বিস্ফোরণ হয়, এমন ছবি যে সেতু জ্বলে যায়, আলিঙ্গনের মাঝে পরিজন হারিয়ে যায়, ভবঘুরে খুন করে শিশু; বোকা শয়তান মিথ্যেবাদী ধর্ষক ধাওয়া করে, ফাঁসি ঝোলে ভবিষৎবক্তা ভিক্ষুক। জীবনের মাঝখানে যে মেয়েটা ঘুম থেকে তোলে, স্মৃতিকে জাগায়।