মানুষ যখন কিছুই হতে পারেনা তখনই সে কবি হয়ে ওঠে
খোলা বারান্দার সবুজ পাতাবাহারের মতন বৃক্ষ হবার স্বপ্নে।
কবিত কবিই, সে কখনও দেবতা হবে না সেটা সে ভালই বোঝে।
পাতাবাহারও জানে, সে কখনও আকাশ ছোঁওয়ার ক্ষমতা রাখেনা,
তাই সে মেঘ দিয়ে কবিতা লেখে আকাশের পরে আকাশে।
আর কবি লেখে পবিত্র মন দিয়ে, পবিত্র প্যাপিরাসের ওপর।
শব্দে শব্দে, বাক্যে- অবাক্যে প্রেম ঘটে এটাও কবি ভাল বোঝে-
ভালো বোঝে শব্দ আর রঙের ঐকতান, শব্দ সুরের মিলন।
রোদ- বৃষ্টির মায়া জালে কিভাবে বীজতলা তৈরি করতে হয়
সেটাও কবি জানে সহজ সরল কৃষকের মতন।
তাহলে কৃষকও কি একজন মহৎ কবি?-
তাতো বটেই, সে বরং দিগুন কবি।
কারণ সে ঋতু ভেদে সময়ের কাজটা সময়েই করে-
আর কবি বেচারা কৃষকের সামনে অর্ধ কবি-
কারন সে সময় চলে যাবার পরেই কবিতা লিখতে বসে!!


২২শে জানুয়ারি, ২০১৫