সবকিছু ছেড়ে হঠাৎ রেস্তোরাঁয় যেতে ইচ্ছে করে
বিশালকায় একটা রেস্তোরাঁর এক কোণে জানালায়
শহুরে সারমর্ম চোখে পড়ে সিলিং ফ্যানের ঝড়ো বাতাসে
লাল জামার বয়কে অর্ডার দেবো “এক কাপ চা”
ঘন দুধ মিশিয়ে স্পেশাল কিছু, নাহ আগে ঐ “শিক্ কাবাব”
তার গন্ধ বয়ে আসছে ধোঁয়ার ডানায় হোটেলের এক কোণে
তারপর রঙিন একটা খবরের কাগজে
রসালো সব খবর ফেলে সোজা খেলার পাতায়
“শচিন কতো রান করেছে কতো বলে”?
ইংল্যান্ডের অবস্থা এখন কেমন?
ওহ্ দুটো বিদেশী সিগ্রেট দাওতো”
খাওয়ার ঘ্রাণে হোটেলে ধোঁয়ার টানে কি যে সুখ
আচ্ছা আর্সেনাল কিভাবে জিতলো ইন্টারের সাথে?
জিদান এখন কোন্ ক্লাবে? কিংবা জামারানো?
কতো সুখের ছায়ায় ভাবি একটা রেস্তোরাঁর কথা
আসলে এর চেয়ে কি সুখ এই দেশে আছে?
নিগুঢ়তা ফেলে স্থুলতা এড়িয়ে একটু হালকা কিছু
ধরো রেস্তোরাঁটা একটা পৃথিবী
টেবিলগুলো একেকটা দেশ
বেয়ারাগুলো একেকটা পলিটিশিয়ান
আমি যে কোনো একটি দেশের প্রেসিডেন্ট
সিগ্রেটটি একটি “থ্রি টু পিস্তল”
আমি গুলি ছুঁড়ছি শূন্যে স্বাধীনভাবে
কেউ হতাহত হল না অথচ সবাই স্বাধীন।




কাব্যগ্রন্থঃ চিরহরিৎ মানুষ(প্রথম প্রকাশঃ ২০০২)