উড়োজাহাজে চড়ে আকাশ থেকে বিলিয়ে দিয়েছি টুকরো টুকরো করে "আমি" শব্দটাকে
পৃথিবীতে এমন কোন নৃতাত্ত্বিক নেই যে হারানো আমিত্বকে  আবার পুনরজ্জিবিত করবে অবলীলায়!
অথচ পুরো পৃথিবীর গায়ে ১০৫ ডিগ্রি জ্বর "আমিত্ব" ভাইরাসের পাদুর্ভাবে
সরকারী-বিজ্ঞানীরা হাওয়া খেয়ে বেড়ায় আবার মন চাইলেই থার্মোমিটার পুঁতে মাটিতে-
আর্সেনিকের মাত্রা জানতে এই ব্যস, তারপর আবার আমিত্ব পেয়ে বসে তাদের ঘাড়ে-
শত শত পত্রিকা প্রকাশিত হওয়ার কথা ভোর বেলায় অথচ এগুলোর রন্ধন ক্রিয়া শেষ হয় গত রাতেই-
তাতে সম্পাদকীয়র আমিত্ব অক্ষত থাকে দিনের পর দিন
প্রথম পাতার সংবাদে শহরে কিছুটা চাঞ্চল্য বাড়ে মাত্র শীতের ভেতর
আসল-পাগল- নীতিবান- মানুষগুলো ফুটপাতের রিজেক্টেড লাল শীত বস্ত্র দেখে থমকে দাঁড়ায়-
তারা সবাই লাল জামা পছন্দ করে অর্থহীন মাওইস্টদের মতো
খোলা ফুটপাথের নোংরা জলে পেট্রোল বোমা চোখে পড়ে কোন এক উদাসী পথিকের-
তার চোখে অবলীলায় ভেসে ওঠে গতরাতের নিউজের ফুটেজ- বোমা-বিকৃত মাথা আর রক্ত লাল
ডাবলডেকার পুড়ছে লাল রঙের ফার্ম-গেইটের মোড়ে পাখি উড়ছে আমিত্তের ভয়ে
মনে হচ্ছে পৃথিবীটা একটা স্রেফ স্ক্রেম্বেল গেইম- রুবি-কিউব হাতে ভাবছে এক নব্বই বছরের কিশোর!
তার দোষ কি? সৌদি বাদশা মারা গেলেন একানব্বইতে স্রেফ আমিত্তের দোহায় দিয়ে
শেষমেশ সে থমকে দাঁড়ায় নোয়াখালী ষ্টোরের হাওলাদারের ভয়ানক দাঁত দেখে-
তার হাতে লাল রঙের মশা মারার যন্ত্র দেখে মনে হল-  এখনই যেন ফেটে পড়বে-
আমিত্তের এটম বোমা
সাবধান ইগশিমা!


২৩শে জানুয়ারি, ২০১৫