ছাইরঙা অন্ধকারে সাতরিয়ে বেড়ানো আত্মা
সুইমিংপুলের অন্ধকার প্রান্তে যেতে নিরাসক্ত,
যদিও বাইরের বিশ্ব সদাই আলো ঝলমলে
বিদ্যুৎ ও পারমাণবিক প্রবাহে আরামদায়ক ভাবে আসক্ত;
আত্মা মহাশয় পুরনো টুইন-টাওয়ারের পুনরুত্থানে আস্থা রাখে
এবং সেটিই গড়ে ওঠে লকলকিয়ে ভাষার মাচার অভিভাকত্তে-
এই স্বতঃস্ফূর্ত ইমারত অর্থাৎ "কবিতার" মুল্য কি নির্ধারিত হবে ?
এই উক্তি বাতাসে ছড়িয়ে পড়ার আগেই, প্রায় একশত বছর আগে
"পল ক্লি"- কতো টাকা হাতিয়ে নিয়েছে! সহজভাবে সে কথা বিশ্ব-বিবেক সংঘ কি রাখে?
আবার "সেজান" অতি সুচতুর ভাবে বিনয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে পণ্ডিতের সীলমোহর!
অতচ ব্যাপারটা কতো সহজ ছিল আত্মারাম ভাবে-
স্থির দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে থাকে ফুরিয়ে আসা সবুজ উৎসে,-
এই নারিকেল গাছ অথবা কার্নিশে জন্মানো দূর্বা ঘাস,-
সবই আসলে বেঁচে ছিল ফার্মের মুরগিদের মতন মানবীয় চেতনায়
হাইব্রিড ইঞ্জেকশান তাদের ভুলিয়ে দিয়েছে "মুরগিক চেতনা";
বাণিজ্যে মানবতার মানইজ্জত থাকেনা- থাকেনা নমনীয়তা  
তাই বিজ্ঞাপন চিত্র শিল্পীরাও নিজেদের নামের শেষে "নাথ' জুড়িয়ে দেয়;
আত্মারাম তো আত্মার মানুষ, সে সবকিছুকে শিল্প দিয়েই দ্যাখে-
এই অতি নান্দনিক অ্যাপার্টমেন্টিও শিল্পের ভেতরেও সে খুঁজে পায়-
অর্থবহ শৈল্পিক-অবয়ব, তারপর লকলকিয়ে ওঠে কবিতার মতো
তারপর নিরবতার ভেতর মিশে যায় সবুজ প্রান্তের সাথে
এভাবে বেঁচে থাকে স্রেফ নির্জীব কবিতা হয়ে!


৭ই এপ্রিল, ২০১৫