বিষণ্ণতার পূর্বাভাস পেয়েছিলাম বহু বছর আগে
সেই তেরো বছর বয়সেই
হঠাৎ করে ছিটকে গেলাম খেলার মাঠ থেকে
ঝুল বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে হল সূর্যাস্তকে
কলেজ জীবনের গল্প না হয় নাই আনলাম, এই অদ্ভুতুড়ে জীবন বাস্তবতায়
বাক্স বাক্স রঙ পড়ে আছে এঘরে ওঘরে তবুও শুকনো ব্রাশের জোটে না-
একবিন্দু জল!, কার্টিজ পেপারগুলো ধীরে ধীরে হলদে রঙকে বরণ করছে-
ইউটিউবের মিষ্টি মধুর পিয়ানোর সুরে!
অথচ অতিপ্রিয় ইলেকট্রিক পিয়ানোটা পড়ে আছে অনাদরে-
বাখের সুরের অপেক্ষায়, অথবা নতুন কোন জ্যাজ- পিস----
যা ধীরে ধীরে শূন্য হতে থাকা ফ্ল্যাটের ভুবনকে গড়ে তুলবে অনবদ্য,
স্রেফ আহরিত অভিজ্ঞতা আর জ্ঞান অর্জনের বিস্ময়ে কি জীবন চলে?
একথা আমাকে বার বার প্রশ্ন করে দাঁড়িয়ে থাকা ছায়া-মানব
সে হারিয়ে যায় হঠাৎ করে, দৃষ্টির সীমানা থেকে-
যখন লাল রঙের চৈনিক বৌদ্ধ মন্দিরের আলোটা ছড়িয়ে পড়ে এঘর থেকে ওঘরের মেঝেতে
পিয়ানোটা বেজে ওঠে নিঃশব্দে, গীটারের ছায়াবিহিন নৃত্য শুরু হয় অদৃশ্যে।


৮ই এপ্রিল, ২০১৫