কিছু পদ্য ছন্দের কবিতা লিখেছিলাম তাদের জন্য-
যারা গদ্য ছন্দের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত চিরকাল,
হয়তো তারা কবিতাকে শুধু ছন্দ দিয়ে দেখতে অভ্যাস্ত,-  
তাই কবিতার অসীম রাজ্য ঘুরে দেখার প্রবেশধিকার তদের জোটে না কখনও;
-দুঃখজনক ব্যাপারই বটে-
-এ এমন কবিতা যেখানে গদ্য-পদ্য মিলে একাকার,  
যেখানে মানুষ ঘুরতে পারে চিরকাল, স্বাধীনভাবে পাখির মত কাব্যের বৃন্দাবনে;
কবি যেখানে স্রষ্টার রুপ ধারন করে, সরে পরে নিঃশব্দে
তারপর পাঠকরা কি কবির নাম আনল কি আনলনা তাতে কবির কিছু আসে যায় না,
এ যেন স্রস্টা আর সৃষ্টির একমাত্র প্রেমের রাজ্য,
আবার অনেকক্ষেত্রে স্রষ্টা ও সৃষ্টির মিশ্র ঐকতান;  
এখানে শুধু প্রশান্তিময় আনন্দ বিরাজ করে-  
বিরাজ করে অহিংসার জগত চিরকাল
তবে তা কবিত্তের উচ্চতার ওপর  নির্ভরশীল,
আত্ম ভোলা বিশুদ্ধ কবি কখনও আত্ম-গাঁথা ছড়িয়ে দেয়না-  
বিশুদ্ধ স্রষ্টার ধারণার মতন তিনিও কেটে পরেন নিঃশব্দে, সুচতুর ভাবে
তারপর আবার উদিত হয় প্রথম সূর্যের মতন,
অথবা আমাদের ছেয়ে থাকা নৈসর্গিক দৃশ্য হয়ে-
সেখানেও স্রষ্টা কবিতা হয়েই ধরা দেয়-
সর্বেশ্বরবাদের গেরুয়া পোশাকে,
অথবা হিমেল হাওয়ার শান্ত চাঁদ হয়ে-
ছড়িয়ে পরে জোছনা বন থেকে বনান্তরে
শহর থেকে শহরে
রুপালি কাব্য হয়ে
অনুভূতির কাব্য হয়ে
শেষ পর্যন্ত গদ্য ছন্দের-
কবিতা হয়ে ।  


২৪শে এপ্রিল, ২০১৫