আজ অন্যরকম রোদ্দুর শহরে।
দোদুল্যমান রিক্সাটা ছুটে চলছে ঝাঁকিঝুঁকি খেয়ে
শহরের একটা দামি মৃত্যুর পাঠশালার ভেতর;
যেখানে থমকে দাঁড়ায় আমার শুকনো মানিব্যাগ।
মনের ভেতরের দেবতা বলে চলে-
“এখানের প্রতিটা ইটই হিসেব রাখে
কোন্ লাশের ওপর কতোটা কর জমেছে!”


শীতাতপ কেবিনে শুয়ে থাকা মানসীর নাম
নাসিমা, আমার অনেক দিনের পরিচিতা-
এখন সম্পর্কে আমার দূরের আত্মীয়া।
যৌবনে আমি তার কবিতা পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম!
এখন সবার সাথে বসে বসে, তার নিঃশ্বাস গুনছিলাম
জীবিত লাশের উল্টো প্রান্তে- অপেক্ষারত পার্থিব স্বামী,
বলে উঠলো, “ সে আমাকে ভালোবাসার ভাষা শিখিয়েছে-
সাজিয়েছে আমার জীবন, আজ সে চলে যাবে চিরতরে!”
শুভার্থীদের আনাগোনায়, পার্থিব আলোচনায় ব্যাংকারের
সোনালী দাঁতে মৃদু পার্থিব তৃপ্তি আমাকে বাধ্য করেছে
আবার কবিতার রাজ্যে ফিরে যেতে!
আবার যখন ঠুং-ঠুং- এ উঠলাম তখন সম্ভবত-
আটটার পরে কিছু একটা হবে!
পরের দিন সকালে হাওয়ায় হাওয়ায়-
খবরটা ফিরে এসেছে প্রাণে-
নাসিমা আকতারের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে
ঠিক রাত নটায়, যখন আমি যন্ত্রণা কাতর
মৃত্যুর পাঠশালার পথটা মারিয়ে-
চিরসবুজ কবিতার রাজ্যে প্রবেশ করছিলাম!!


২৮শে জুলাই, ২০১৫