এই বৃষ্টি যদি চলতে থাকে আরও হাজার বছর। তবুও কি ফসিলজ্বালানীর দুঃখ পৃথিবী থেকে মুছে যাবে বল? আস্তে আস্তে হারিয়ে যাবে জীবনানন্দের দেখা সেই ক্ল্যাসিকাল বাংলা, বদ্বীপের বৈচিত্র্যময়তা। এখন আবার পলি মাটিরাও মিশে পড়ে শহুরে হাওয়ায়, তীর তীর করে অদ্ভুতুড়ে কিছু একটা পরিবর্তনের আশায়। নদী থমকে দাঁড়ায় কয়েক লক্ষ-কোটি-টন আবর্জনাবাহী ট্রাকের মতন। মানুষরা তবুও ঐতিহ্যের স্বপ্ন দেখে যায়, ভাটিয়ারী, ভাওয়াইয়া গানের। বাতাসে উটকো, অসামাজিক বৈজ্ঞানিকগন্ধ। বাথরুম থেকে ড্রইংরুম, গ্রিনরুম থেকে হেলথরুম সবখানেই এখন ওত পেতে বসে থাকে প্লাস্টিক বোতলের টাইমবোমা। আমাদের গলার ভিতর যে আদুরে নদীটা বয়ে গেছে আর মিশে গেছে মিহি নরম উৎসের সাথে, সেটির ভিতরেও আজ খুঁজে পাওয়া যাবে লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি প্লাস্টিক বোতল সদৃশ ডাইনোসরদের ফসিল। তাই দুঃখও এখন দূর্বাঘাস কিন্তু অরিজিনাল দুঃখও এখন বড়ই দুর্লভ। সমুদ্রে ছুটলেও তুমি অরিজিনাল ফিলিংস খুঁজে পাবে না। দেখবে প্লাস্টিকের বোতল আর পলিথিন সেখানে অবস্থান নিয়েছে পৃথিবীর সুন্দরতম পাখিদের উৎখাতের নেশায়। তাই আমরা জলে ভাসবো, স্রোতের জলে ভাসবে একদিন আমাদের সর্ব ইতিহাস। এটা মাথায় রেখেও ১৭% ইঙ্কামট্যাক্স দিয়ে যাবো পৃথিবীর চূড়ান্ত ব্যর্থ মানুষদের হাতে। যারা পৃথিবীকে দেখে স্রেফ এক নাম ঠিকানাবিহীন উঠতি পতিতা হিসেবে।