চল্লিশ পেরিয়ে পঞ্চাশ শেষে
বয়স আমার আজ ছুঁয়েছে ষাট
তাই বলে কি বুড়ো হয়ে গেছি ?
মরে গেছে সেই প্রেমিক হার্ট  !


ভালোবাসা কেবল তারুণ্যের তরে
নেইকো কোথাও এমন বাঁধাধরা আইন,
দেখিয়ে দিলাম তাই বুড়ো বয়সেও
আজো আমি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন  !


রাত না পেরোতেই উৎসবের আমেজ
ফুলের দোকানে পড়ে গেছে ভিড়,
কোথাও বা কোন যুগল ভালোবাসা দিবসেই
              বেঁধেছে গো স্বপ্নের নীড় ।


কোথাও বা কোনো স্বামী দিয়েছে উপহার
বউকে ।'-খুশি করে আরেকটি গাড়ী
কোথাও বা রোগে-শোকে মরছে ধুঁকে
অনাহারী কোন এক স্বামী হারা নারী।


কোথাও বা কোনো  শিশু জীবিকার তাগিদে
লাইলী-মজনুদের দিচ্ছে যোগান,
এই জুস-পানি-চকলেট, চা-কফি-সিগ্রেট
মুখে নিয়ে শুধু এই  স্লোগান।


নেই'কো কুলি-মজুর-কিশানের জীবনে
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের মানে,
জীবন মানেই যাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম
সারাটি জীবন ধরে শ্রমের ঘানি টানে।


প্রকৃতি প্রেমি সব তরুণ-তরুণী  !
পার্কে-উদ্যানে জোড়ায়-জোড়ায় বসে,
টোকাই ছেলেটি খালি বোতল চাইতেই-
গালে তার মারে চড় স্বজোরে কষে ।


চমকে উঠি ভাই দেখে হায় এ যুগের
রোমিও-জুলিয়েটের ভালবাসার হালচাল,
গলা-গলি ধরে তারা রিকশায় চড়ে
ভাড়া নিয়ে বেচারাকে করে গালাগাল !


যুগে-যুগে ভালোবাসায় কত কি দেখে হায়
এসেছি জীবনের পড়ন্তে চলি,
কেমন কাঁটলো কার ভালবাসার দিনটি
বাদ থাক ওসব আজ  নিজের কথাই বলি ।


যৌবনে এসেছিল যে প্রেম এই হৃদয়ে
ষাটেও এসে তা  টলেনি'কো একচুল,
এই ভালোবাসা দিবসেও দিয়েছি গিন্নীকে
এক হালি তরতাজা কুমড়ো ফুল  !


লজ্জায় মুখ ঢাকে সেকেলে বিবিজান
ছেলে-মেয়ে হেসে হেসে হয় যে ব্যাকুল,
দুপুরে খেয়েছি  সে ফুলের বড়া
নেইকো স্বাদে আহা  তার কোন তুল   !!!


রচনাকালঃ ১৪ই ফেব্রুয়ারি - ২০১৮খ্রিঃ।