"তোমরা বলে দাও"
-চিশতী রাজু আহমেদ ।
তারিখঃ ২০/০৮/২০২২ খ্রিঃ ।


লেখনী টলছে,পাথর হয়ে গেছে বর্ণমালা!
কলমের নিব দিয়ে বের হতে চায় না !


নাম-যশ কিংবা অর্থকড়ির জন্য নয়
মনের খোরাক যোগাতে কবিতা লিখি।
আনন্দ নয়,কপাল তলার অশ্রুতে ভিজছে চিবুক!
ভিজজে কবিতার পেলব্ শরীর!


দু'নায়ে পা রাখা সেই অসহায় বাপ-মা'র সঙ্গী আমিও ।
ক্ষমা? নাকি ঘাতকের চাইবো বিচার?
প্রবীণ পরাসস্রিতো দম্পতি বিবেকের কাঠগড়ায় !
নীতি-আদর্শ বনাম অপত্য স্নেহ আরেক পাল্লায়।
সবে উপহার পেয়েছে প্রবাসী বড় ছেলের কফিন!
ঘাতক ছোট ছেলেটার'ও কল্লা যাবে আরব আইনে!


বউদের বিষবাক্যগুলোই অগ্নি জ্বেলেছিলো সহোদর হৃদয়ে।
মোক্ষম সুযোগে ইবলিশ ঘি ঢেলেছিলো সে কলহের আগুনে।
আজরাইল না এসে থাকতে পারেনি তের তেরটি ছুরিকাঘাতের পর !


ফুলের মতো পৌত্র-পৌত্রী, কারো দাবিই ফেলবার নয়।
দু'ছেলের কচি-কচি মুখগুলোও রায়ের অপেক্ষায়!
খুনির বিচার ভার্সেস পিতার আদর।
পিতৃ হত্যার বিচার,আরেক পক্ষের দাবি-প্রাণ ভিক্ষা আরেক পিতার ।
কাজে আসে না পৃথিবীর কোনো সান্ত্বনাই এখানে!


হারানোর বেদনায় দোদুল্যমান দু'টি বয়স্ক হৃদয়।
তথাপি, আমৃত্যু বয়ে বেড়াতে হবে প্রিয় পৌত্র-পৌত্রীদের অসন্তুষ্টি আর অভিযোগ!


বুকের মানিক জোড়া স্বপনে এসে বলবে-এ কেমন বাপ-মা?
পুত্র হত্যাকারীকে করে দিলে মাপ ? কিংবা
হত্যার বদলে হত্যা? বাঁচতে দিলে না তোমরা আমায় ?


ছেলে হত্যার বিচার ? নাকি আরেক খুনী ছেলের বাঁচাবে প্রাণ ?