শূন্যতা থেকে পূর্ণতা লাভে আদি থেকে ক্রমে ক্রমে
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে নানা দিকে, ভূখন্ড থেকে ভূখণ্ডান্তারে
পড়ল ছড়ায়ে জীবন জীবিকার তরে ঘোরে স্থান থেকে
স্থানান্তর হয়ে। এরা তাঁরা আদি সৃষ্টির বংশধর যারা।


হিমালয়ের পাদদেশ থেকে দৃষ্টির সীমানায়,যখন ছিল
শুধুই থৈ থৈ নীল জলরাশি, হাঙ্গর, তিমি,আর নানা
প্রকার মৎস্য রাশি বেড়াতো ভাসি। তখন এ কথা
ভাবতে পেরেছিল কি কেউ, এখানে একদিন উঠবে
জেগে ভারত ভূমি? জন্ম নেবে হেথায় বিভিন্ন ভাষাভাষী
অপরূপ বৈচিত্রের ঐক্য আনবে টানি, মুছে যাবে গ্লানি?


প্রকৃতির হোলি খেলা, ভাষায়ে আপন ভেলা, ক্রমে
ক্রমে উঠিল জাগি তৃন আচ্ছাদিত এই স্বপ্নের ভূমি।
সৃষ্টি হল সবুজে ঘেরা গাছপালায় অনন্য সুন্দর
ষড়ঋতুর এই আলয়। পারস্য, আরব, ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান হতে এলো হেথা বেদুইন হিন্দুকুশ
গিরিপথ দিয়া। চীন ব্রহ্মদেশ থেকে যারা এলো
ভারতের সমতল পূর্বাঞ্চল তারাই দখল নিলো।
ভূখন্ড থেকে ভূখণ্ডান্তরে ভিন্ন আবহাওয়া, ভিন্ন
জলবায়ু, দিয়েছে বিভিন্ন রূপ, দিয়েছে  আয়ু।
দেখি তাই মোরা, একের মধ্যে এই বিচিত্র রূপ;
কেউ সাদা কেউ কালো, জ্বালায়ে রূপের আলো
ভাস্বর করেছে জগত।


তাই আচার আচরণে বিভিন্নতা আছে,তবু মুল বাঁধা
আছে সেই আদি শূন্যের সাথে। যতই ঘোরো না কেন,
কেন্দ্র ও মূলে, যেতেই পারো তুমি কান্ড শাখা-প্রশাখা
পাতা হয়ে ঐ নীলাচলে। ফিরিতে হবে তোমায় একদিন
ওই সেই কেন্দ্রের কাছে, যেখানে তোমার পায়ে শিকলে
বাঁধা আছে। ধরিত্রী ও বলে তাই, যাস না ছেড়ে আপন
ওরে, ভালোবাসা আর কোথাও নাই। ভাবি আমি বসে
আমার অবস্থান কোথায়? শিকড়ের মুলে? কাণ্ডে? শাখা, প্রশাখায়? পাতায়? না ঐ নীলাচলে?


১ লা আষাঢ়,১৪২৭,
ইং  ১৬/০৬/২০২০,
মঙ্গলবার সকাল ৮টা। ১০৩৯, ১৬/০৬/২০২০।