হাত ধরে চলা- সেই জীবনের শুরু থেকে,
এখনও ছাড়িনি হাত রয়েছি ধরে।
একদিন হয় তোবা ছেড়ে দিতে হবে,
সেদিন নেই বেশীদূরে।
এই তো জীবন!
কে কারে যাবে ছেড়ে জানেনা অবুঝ মন।
ভাবতে অশ্রু ঝড়ে নয়নের কোনে,
আমি কিংবা তুমি- কে কোন ক্ষনে যাব চলে,
কে জানে? যে রবে পড়ে একাকী?
ভীষণ কষ্ট হবে এই জীবন পথে চলতে,
সাথীহারা, আত্মার আত্মীয় ছাড়া।
মনে পড়বে অতীতের কত কথা,
একা একা শুইয়ে শুইয়ে।
শৈশবে,ছিল মা-বাবা, কৈশোরে বন্ধুরা
আর যৌবনের মৌবনে তুমি,
আমার আত্মার আত্মীয়, আপনজন।
সুখ-দুঃখে আছ কাছে,
কখনও মাথাটা বুকে রেখে
চোখবুজে অনুভবি সেই দিনটার কথা;
ভাবতে অবাক লাগে আর লাগে প্রাণে ব্যথা।
জন্ম-মৃত্যু একই ভাবে জীবনকে নিয়ে খেলে-
সৃষ্টির সেই আদিম কাল হতে।
একে একে সবাই যাবে, রবে না তো কেউ;
উথালপাথাল প্রাণে লাগে এসে ঢেউ।
যে শেষে রবে তাকেও যেতে হবে,
অজানা কোন এক দিনে, জানিনা তো কবে?
ওরে- মৃত্যু,  তোর সাথে হবে খেলা,
ধরে হাতে হাতে, একদিন কোন এক বেলা।
নিরবে একা বসে ভাবি আর ঝরে আঁখি,
এই জীবনের আর কতটুকু আছে বাকি?
যে আগে যাবে, দাঁড়ায় কি রবে,
অধীর আগ্রহে পথ চেয়ে আপনজনের অপেক্ষায়?
এই অনন্ত জিজ্ঞাসা আর সেই ভালোবাসা,
বারে বারে জাগে হৃদয় সাগরে,
কত না পাওয়ার আশা।


৩০শে চৈত্র, ১৪২৩,
ইং ১৩/০৪/২০১৭,
বৃহস্পতিবার,
রাত ১১টা।