এই প্রজন্মের মানুষ আমরা, আমরা কি আমাদের
চাওয়া পাওয়া বুঝতেই পারি না। কি ধরব, কি
ধরব না, মনে হয় ধরা ছোঁয়ার ধারই ধারিনা,
আবার মন উথলি ওঠে যদি আমার ঘরে একটা
দামোদর মোদি কিংবা যোগী আদিত্য বা একটা
মমতা থাকতো কেমন হোতো? না-না-না-আমরা
চাই একটা অনিল আম্বানী, একটা গৌতম আদানি,
নয় তো একটা বিজয় মাল্য, নয়তোবা একটা টাটা-
বিড়লা, আরও কত শত নাম মানস চোখে ভেসে
ওঠে। মালিন্য নয়-বন্ধু মালিন্য নয়! এ তো লোভ
লালসার খেলা। জাতপাতের ছোঁয়াছুঁয়ি, বড়ছোটর
ভেদাভেদি সব ছাড়ি ধনী, দরিদ্রের রেষা-রিষি সব
হেথা হয়। এলোমেলো একাকার যতটুকু পাবে যে,
কেড়েকুঁড়ে নেবে সে, নিজের পকেট ভরি। সুখের
বন্যা বইবে যবে তুলে নেবে আজলায় করি। আহারে-
সুখের নামাবলী। সুখ ভোগের মোহজালে নিজেদের
জড়ায়ে ফেলি। চাইনাতো কভু মোরা মানুষ হয়ে, দিতে  
ধরা মানুষের মাঝে। ছেলেমেয়ে বিদেশেতে দেয় ছেড়ে
অর্থের লোভে। ফিরিবেনা কোন দিন শোধিতে মা-
বাবার ঋণ যদিও বা ডাকিবে বারে বারে। ভাবিবে
বিদেশে বসি কেন হবো নরকবাসি পর অন্নে লালিত
পালিত মোরা। মাতাপিতা সবারই আছে, একদিন চলে
যাবে শেষে তাতে বিচলিত হবার তো নাই। শোষনে
শোষনে মাতৃভুমি আজ শ্মশান, দেশ মনে হয়, এক
মশান। তবুও চাই নাই ভুলে একজন মাষ্টারদা, বা
একজন ক্ষুদিরাম। দেইনা ধরা নিজের কাছে, চাই নাই
মোরা আপন করে একজন বিনয়, বাদল, দীনেশ,
নয়তোবা একজন প্রীতিলতা কিংবা মাতঙ্গিনী; যারা  
দেশের জন্য মায়ের জন্য জীবন দেবে জানি। থেকেও  
নিঃস্ব, হারায়ে নিঃস্ব, নিঃস্ব জীবন শেষে; আমরা আজ
দাঁড়ায়ে ভিখারি বেশে। চোখের জলে হাতজোড় করে
আঁধার ঘরে বসে তাঁর কাছে চাই দেও তুমি মোরে;
একটা নজরুল, একটা রবি, একটা মাইকেল,একটা
বিদ্যাসাগর। আজ বড় প্রয়োজন একটা সুভাস, একটা
মুজিব কিংবা একটা ফিদেল আমার এই কুঁড়ে ঘরে।  

১০ই পৌষ, ১৪২৪,
ইং ২৬/১২/২০১৭,
মঙ্গলবার, বেলা ১২টা।