স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্তির জন্য অস্ত্র ধরেছিলাম।
মুক্ত হয়তো হয়েছিলাম কিন্তু সত্যি কারের স্বাধীনতা কি পেলাম?
ধর্ম জাতের ভাগাভাগি আমাদের কোথায় নিয়ে এলো?
একাত্মতা, সৌভ্রাতৃত্ববোধ সবই তো হারায়ে গেল।


রাম রহিম, সাধক পীর, পরস্পর ছিল আপনজন
মৌলভী আর বামুনরা মিলে বিষিয়ে দিল মন।
ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হল মৌলবাদের আখড়া
বাঙালির বাঙালিত্ব ধ্বংস করে হলো এ কোন মাকড়া।


নজরুল, রবি, বিবেকানন্দ, জসিম উদ্দিন, জীবনানন্দের দেশ;
বিভেদের ধ্বজা হাতে নিয়ে বাঙালি হয়েই গেল শেষ।
আমি ছিলাম মুক্তিযোদ্ধা বাংলা মায়ের সন্তান
মৌলবাদের হুমকি পেলাম একি স্বাধীনতার দান।


মাতৃভূমি ছাড়ার দুঃখ আজও কেউ বোঝে না ভাই
যে ছেড়েছে সেই বুঝে স্মৃতির পাতায় স্মরণ করি তাই।
ব্যক্তি স্বার্থের মতবাদকে আমরা ধর্ম বলে জানি
প্রকৃতির ওই সনাতন বিশ্বাস সেকি আমরা মানি?


একই আকাশ, একই সূর্য, একই চন্দ্র; মাথার উপর মোদের
কোথা থেকে এত বিভেদ আসে আর কে অর্থ যোগায় কাদের?
জন্ম মৃত্যু জীবের ধর্ম মায়ের বুকের দুধে মানুষ
তবে কেন ধর্মের নামে ওই উড়াই আমরা ফানুস।


হিন্দু বৌদ্ধ মুসলিম খৃষ্টান পার্থক্যটা কোথায়?
ব্যক্তি স্বার্থে আল্লাহ' ঈশ্বর' ভগবান' শুধুই বলে কথায়।
জন্মের পরে আমরা সবই মাতৃরূপে ধরণীকে পাই
তাঁহার দেওয়া খাবার খেয়ে এই জীবনটা বাঁচাই।


আবার মৃত্যুর পরে আমরা সবাই একই রাস্তায় যাই
ধর্ম জাতের বিভেদটা কি পায়, শেষ বেলাতে ঠাঁই?
শোষণহীন সেই মানব সমাজ উঠবে কবে গড়ে?
সাম্যবাদী মানবতা আর মনুষ্যত্ব উঠুক ভাবনার মাটি ফুঁড়ে।


বাঁচবে মানুষ বাঁচবো আমরা স্বাধীনতার নামে
ভাতৃত্বের বন্ধনে থাকুক মানুষ এই ধরাধামে।
আলোয় আলোয় ভরে উঠুক শান্তি সুখের জীবন
স্বর্গীয় সেই সুষমায় আবার পূর্ণ হোক ভুবন।


১লা অগ্রহায়ণ, ১৪২৮,
ইং ১৭/১২/২০২২,
শনিবার সন্ধ্যা ৫:৩০।১৮৬১, ১৯/১২/২০২২।