আমার জন্মস্থান আমার জন্মভূমি,
সেই তো ছিল মোর বাড়ি ঘর,
কালের গতিতে একদিন হয়ে গেছে পর।


ঘর থেকে ছুটে যেতাম উঠোনের পড়ে
ছুটিতাম এপার থেকে ওপারের দিকে
এই ছিল মোর খেলাঘর।
ঠাকুরমা কিংবা পিসিমা নয়তো বড়দি,
ছুটি তো পশ্চাতে বলিতো দাঁড়া পড়ে যাবি যে,
ছুটিতাম খুব জোরে নতুবা ধরিবে মোরে।


প্রভাতী সূর্যোদয় আনন্দে হিল্লোল দেয়
যেন শৈশব-কৈশোরের মেলা,
দুপুরের খড়তাপে ভাসায়ে জীবন ভেলা ।
অরিষ্ট স্পষ্ট হয় আপন দৃষ্টিতে
তবুও লড়াই একার আপন সৃষ্টিতে।


তারপর প্রভাত রবি দুপুর পেরিয়ে যাবে অস্তাচলে
ধীরে ধীরে নিঃশেষের পথে অদৃষ্টের রথে।


অবশেষ, প্রদীপ্ত ভানু ক্রমে হবে নিঃশেষ।
অস্তাচলের দিকে শান্ত পায় ধীরে ধীরে  
এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান শোনে অন্তরাত্মা শোনে যেন প্রাণ।
বাক শূন্য নীরবতা ঘিরে ধরে ক্রমে
শুধুই অতীত স্মৃতি, স্মৃতির পাতায় ভ্রমে সম্ভ্রমে।


১০ই কার্তিক, ১৪২৫,
২৮/১০/২০১৮
রবিবার, সকাল ৮ টা। 620 dtd 29/10/2018