দেশের মানুষ দেশেই পরিযায়ী, শুনেছে কে কোথায়?
দেশকে টুকরো করার বাসনাটা বলো কারা শেখায়?
নিজের দেশে পরবাসী ভাষা শুনে পাচ্ছে হাসি,এরাই
আবার হিন্দু, হিন্দু বলে দেশের মাঝে বাজায় বাঁশি।
সংবিধানের ধারা মতে দেশের মানুষ একই সাথে তবে
আজ কেন পরিযায়ীর বার্তা তাতে? অঞ্চলভিত্তিক,
ভাষাভিত্তিক, দেশের মানুষকে কি ভাগ করা চলে?
স্বার্থন্বেষী যুক্তি খোঁজে নানানভাবে নানান ছলে। ওদের
কথায় বলতে হয় পরিযায়ী শাসক দিয়ে,কেমনে এ দেশ
শাসন হবে? সবাই যদি অঞ্চল, ব্যক্তি, গোষ্ঠী, নিজ সমাজের কথা ভাবে,তাহলে ভিন্ন প্রশাসক দিয়ে তবে বাংলার শাসন কেমনে হবে? দেশের এই রাজনীতিকরা সহজ সরল এই
কথাটা বুঝবে কবে? মোদের দেশের নানান ভাষা, নানান মত, খুঁজতে হবে একটাই পথ। এক ছাতা, এক পতাকা, তাই যদি
হয় ঐক্যের বার্তা, তবে কেন পরিযায়ী কথা বলছে মোদের দেশের বড়কর্তা? দেশ শাসনটা সহজ নয়, নিরপেক্ষ জ্ঞান-গম্মী থাকতে হয়। কৃষকরা করবে চাষ, কৃষি শ্রমিক কাটবে ঘাস,
তাদের শিক্ষিত সন্তান যারা, তারা দেশের হয়ে ধরবে রাশ।
এটাই তো হওয়ার কথা তবে আসবে কেন রাজ্য, ধর্ম-বর্ণের,
বিভেদ ব্যথা? বুঝতে হবে ভাবতে হবে নতুন করে,এই দেশ
আর দশের সম্পদ লাগছে বন্ধু কাহার ভোগে? বিচ্ছিন্ন চিন্তাভাবনার মানুষ যারা বিচ্ছিন্ন করতে হবে সমাজ থেকে,
তাদের দিয়ে হবেনা কাজ সুস্থ-সুন্দর চালাতে রাজ। মানুষ
খুঁজে পেতে হবে সাম্য ও সমতার বিচার করে,তবেই এক সংবিধান, এক পতাকা, দেশের মানুষ পাবে হাতে।


১৫ ই জৈষ্ঠ্য, ১৪২৭,
ইং ২৯/০৫/২০২০,
শুক্রবার সকাল ১০:০৪। ২০২৩, ৩১/০৫/২০২০।