সফদার হাসমি, নামটাই যেন একটা বিপ্লব!
হাসতে হাসতে সমাজটাকে পরিবর্তনের ব্রত নিয়েছিল,
         ক্ষুরধার বিপ্লবী শিল্পী।


অভিনয়ের তীক্ষ্ণ আবেদনের দ্বারা বিপ্লব ঘটাতে চেয়েছিল,
      এই একশ কোটি মানুষের দেশে।
সামন্ততান্ত্রিক শক্তি ভয় পেয়েছিল এই প্রতিভাকে;
     তারা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছিল,
এই বুঝি হাভাতে গরীব মানুষগুলো-
     চেতনার আলোতে উদ্ভাসিত হয়ে,
ছিনিয়ে নেবে পায়ের তলার শেষ মাটিটুকু।


সামন্ত বুর্জোয়ারা শোষনের যন্ত্রকে সচল রাখার তাগিদে,
এতদিনের মেকী সমাজতন্ত্রের খোলস থেকে বেরিয়ে এসে-
      উন্মুক্ত তরবারী নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ল-
         সমাজ বিপ্লবী হাসমির উপর।


পরিচয় পেয়ে গেল একশ কোটি মানুষেরা,
   এই মেকী সমাজসেবী ঘাতকদের।
ওরা জানেনা-
ঘাতকের অস্ত্রদিয়ে রুখতে পারা যায় না-
       বিপ্লবের স্রোতকে।


ওরা ইতিহাস পড়েনি-
যদি পড়তো তাহলে হাসমি নামক একটা মানুষকে
     শহীদের মৃত্যু বরণ করতে হোতনা।
আজও ওরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় নাই,
অত্যাচারী “জার” পারেনি রুশ বিপ্লবকে,
    গলাটিপে হত্যা করতে।
সাম্রাজ্যবাদীরা আজ কোন ঠাসা,
সামান্য একটা স্লোগানের জন্য-
   “যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই”।


এরপরেও কি ওরা বুঝতে পারবেনা?
  দিন ওদের ফুরিয়ে এসছে!
বিপ্লব দোরগোড়ায় আঘাত হানছে।


এ শব্দ কি?
ওদের অত্যাচারী, মানব বিরোধী খোলস ভেদ করে-
     এখন ও কানে পৌঁছায় নাই?


২২শে এপ্রিল, ১৯৮৯,