ওই ইতিহাসের  ক্রমবিবর্তন
অনেকেই বুঝতে পারে না;
এ যে সনাতন প্রকৃতির দান
এটা নয় মোদের ঘর-ঘরানা।

আর্য, মৌর্য, পেরিয়ে এসে
এদেশ দেখেছে হুমায়ুন, আকবর;
ক্রমবিবর্তনে এসেছে ইংরেজ
একদিন তারাও চলে গেছে তারপর।

অখন্ড ভারত খন্ডিত হল
সেই ইংরেজ শাসন কালে;
উত্তরের তিব্বত হতে শ্রীলংকা,
পূর্বের রেঙ্গুন থেকে আফগানিস্তান,
গান্ধী নেতাজির দুর্বার গতি
খন্ডিত ভারতের স্বাধীনতা এনে দিলে।

সেই সুযোগে ক্ষমতার লোভে,
আবার ভারত দু'টুকরো হলো
জিন্না, নেহেরু, হিন্দুস্তান ও  পাকিস্তানের,
ক্ষমতার দখল নিল।

শোষণ শাসন দেখালো আবার
ওই খন্ডিত পাকিস্তান;
ইন্দিরা গান্ধীর সহযোগিতায়
মুজিব বাঁচালো বাঙালির প্রাণ।

সুজলা সুফলা স্বাধীন বাংলার
স্বীকৃতি ভারত দিল;
আর ইন্দিরা গান্ধীর চেষ্টায়
বিশ্বসভায় বাংলার স্থান হলো।

ইতিহাসে যে বড়ই কঠিন
ভীষণ নির্মম কারিগর;
চলতে চলতে পথে পথে
গড়ে তোলে কত ঘর।

সেই সনাতন থেকে ইহুদির "তোরা"
বৌদ্ধদের "ত্রিপিটক";
যীশুর "বাইবেল", মুহাম্মদের কোরআন,
মানুষের দরজায় করিতেছে ঠক ঠক।

লালন, চৈতন্য, আজ ইতিহাস তাঁরা,
ছিল সত্যের এক চরম মাত্রা;
ওরা মনুষ্যত্ব আর মানবতা নিয়ে
শুধু করেছিল সেই বিবেক যাত্রা।

পালা পরিবর্তন হয়েছে ইতিহাসের
এসেছে যুগের পর যুগ;
এমনি করেই এই সৃষ্টির ধারা
চলছে অহরহ হয় নাই বিমুখ।

সেই ইতিহাস মুছে দিতে চায়
ক্ষমতায় এসে ধর্মীয় মৌলবাদ;
নিজের স্বার্থে দেশকে চালায়
দেশের জনগণকে দিয়ে  বাদ।

৭ই পৌষ, ১৪২৮,
ইং ২৩-১২-২০২১,
বৃহস্পতিবার বেলা ১১:০৬। ১৫৪০, ২৪-১২-২০২১।