হিন্দু ধর্ম কোন ব্যষ্টি মানসের ভাবনা চিন্তার মতবাদ নয়।
সনাতন বিশ্বাসী, চেতনশক্তি সম্পন্ন কিছু মহামানবের ভাবনার
সমষ্টি মাত্র। তাই তো হিন্দু ধর্মের নাই কোন প্রবর্তক। আর
সনাতনের জায়গায় কেন হিন্দু এলো? তা কি শুধু সিন্ধুনদের
পূর্ব পারের লোক বলেই? তাই তো বলি –সিন্ধু থেকে হিন্দু,
এই ক্ষুদ্র বিন্দু? সনাতন বিশ্বাস সে যে বিশ্বজোড়া, হৃদয় হরা,
নিজের ভাবনায় মুক্ত তাঁরা।


সমষ্টির চেতনা মানেই, সার্বিক মানব সমাজের হিতার্থে উন্নয়নের
প্রতিপাদ্য। কিন্তু আজ যারা এই ধর্মকে ব্যক্তি স্বার্থে, ব্যবসার
খাতিরে ব্যবহার করছে, তাদেরকে কি করে হিন্দু বলি? তারা
যে বনিক, কেনাবেচা যাদের স্বভাব, মুনাফাই যাদের অভাব,


শোষণই ভূষণ তাঁদের। সিন্ধুনদের পূর্ব পারে যারা ছিল নানান
মতের। কেউ বা রাজা, কেউ বা প্রজা, কেউ বা শাসক, কেউ
বা কৃষক, কেউ বা কালা, কেউ বা ধলা, কেউ বা বড়, কেউ
বা ছোট, সাদা কালো নানা রঙের ফুলের মত। সৃষ্টি যে করলো  
তাঁদের ভাগ করেনি মানুষ জাতের। একই মায়ের সন্তান তারা,
ধরিত্রী মার বুকের উপর খেলছে যারা। মায়ের বুকের মধু খেয়ে
সবাই মোরা আছি বেঁচে, ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া করে নামছি কেন
এত নীচে? মানব ধর্ম শ্রেষ্ঠ ধর্ম, মনুষ্য-বোধ বেঁধে রাখে বুকের
সাথে বুকে সবার। চৈতন্য, লালন, কবীর, ভাগ করেনি মানুষ
জাতের, মানুষের সাথে মানবতাকে রেখেছে বেঁধে আপন হাতে।
কোন্ ধর্ম এই প্রেমের চাইতে বড়? বলতে পার? ধর্ম জগতে
দুইটা আছে সত্য, মিথ্যা কিংবা ভাল, মন্দ। তাই যে দেখি
সামনে চোখে, মোদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে প্রকৃতিটা আপন বেশে।


১৬ই বৈশাখ, ১৪২৫,
ইং ৩০শে এপ্রিল ২০১৮,
সোমবার বেলা ১২.৩০মিঃ। 534 dtd 22/07/2018.