ক্ষুদ্র যারা -
ক্ষুদ্র কে নিয়ে বেঁচে থাকে তাঁরা ।
সীমানা মোদের সীমিত যে তাই,
বৃহতের সীমা কোথা খুঁজে পাই?


দৃষ্টির বাইরেও পরে সুদীর্ঘ প্রান্তর
কি করে পাব খুঁজে জন্ম মৃত্যুর ঘর?
তবুও যদি ভাবি ছিল মূল হেথা
চারিদিকে ওই শাখা প্রশাখা।


মূলের ও মূল ভাবতে আকুল
সেই চেতনার সীমা বলে না না -
আছে আরো পথ আঁধারে ঘেরা।
ক্ষণিকের শ্রমে হইও না ব্যাকুল।


সৃষ্টির ব্যথা ভেবেছো সে কথা?
ধমনী শিরা বইছে রক্তের ধারা;
একান্তই অজানা মূল থেকে পাতা
ভাবি মনে আজ ধ্বনিত সে গাঁথা।


সম্মুখে দাঁড়ায়ে ওই সবুজ যারা
হারায়ে খেই আজ দিশাহারা তাঁরা।
কোন পথে যাবে কেইবা বলিবে
কার নির্দেশিত পথে তাঁরা চলিবে?


চিনিনা আপন বড় দুর্ভেদ্য এ জীবন
দশদিক আঁধারে ঘেরা অনন্তের সীমা;
পারিনা ভাবিতে এই চোখ মুদে আসে
উথাল পাথাল ভয়াল খরস্রোতা ভীমা।


যাহা কাছে পাও আপন করে নাও
বিভেদের সুর সকলি দূর করে দাও।
আনন্দ পাবে আপনার পরিচয় দিয়ে
হলে বাস্তব ধর বুকেতে জড়ায়ে নিয়া।


জীবন বৃক্ষের মূল খুঁজিতে করোনা ভুল
হারায়ে যাবে সব, পাবে শুনিতে কলরব;
আপন পর ভুলে- নেও পরম সত্যকে তুলে
বাঁচবে বৃক্ষ বাঁচবে মূল আমরা সব সমতুল।


৪ঠা চৈত্র, ১৪৩০,
ইং ১৮/০৩/২০২৪,
সোমবার সকাল ৮:১৮। ২৩১৪, ২০/১৫২, ২১/০৩/২০২৪।