জীবন কোথা থেকে হয়েছিল শুরু
জানেনা তো কেউ তায়;
শৈশব কৈশোর খানিকটা যৌবন
কেটেছে অজপাড়া গাঁয়।


দেখেছে সবাই চলতে চলতে পথে
অতীত তো কেউ দেখে নাই;
দেখেছে আমারে যারা ছিল পাশে
সুখে দুঃখে বুকে দিয়েছে ঠাঁই।


তালপাতা আর সেই কয়লার কালি
বস্তা নিয়ে স্কুলে ছোটা;
কঞ্চির কলম দিয়ে তালপাতায় লেখা
হাতে ধরে গোটা গোটা।


খেয়েছি বকা শিক্ষকদের কাছে কত
আবার আদরও পেয়েছি তত;
ভাবিনি কখনো কভু এমন জীবন পাব
পথে পেরিয়েছি বাধা শত শত।


ছুটেছে জীবন পথে অনন্তের সাথে
মাধ্যমিক ও কলেজ শেষ করে;
বুঝিতে পারিনি কভু কত দূরে শেষ
কোন অজানা সীমানার পরে?


অজানা অন্ধকার ছিল তমশায় ভরা
জীবনের কঠিন সেই ধুধু পথ;
জানিবে না কেউ পথে ঝরেছে রক্ত কত
হয়ে দক্ষ পারিনি চালাতে রথ।


ছিল মনে একান্তই হব বড় ডাক্তার
ওই মানুষের সেবায় দেব মন;
শুনে আহ্বান মাতৃভূমির মুক্তির জন্য
মুক্তিযোদ্ধা হয়ে করেছি রণ।


যুদ্ধের শেষে মতপথ সব গেল বেঁকে
শেষে দেশ থেকে বিদেশে গিয়ে;
জীবন পথে ঐ পথহারা পথিকের মত
দাঁড়ালাম শেষে চাকুরিজীবি হয়ে।


সব ভাবনা পড়ে রইল স্মৃতির পাতায়
অবসরের শেষে ঘরে বসে;
সুখে-দুখে মন্থন করি স্মৃতির পাতায়
আসে চোখে জল অবশেষে।


জানিবে না কেউ, বুঝবে না কেউ
এই জীবনের শুরু আর শেষ;
নিজেরে ভাবাই আর দেখিবে সবাই
ওই লোকটা আছে বড় বেশ।


১৯শে মাঘ, ১৪৩০,
ইং ০৩/০২/২০২৪,
শনিবার বিকেল ৩:৫০। ২২৬৮, ২০/১০০, ০৪/০২/২০২৪।